অন্তরঙ্গ ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৪ তরুণ গ্রেপ্তার
Published: 26th, March 2025 GMT
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিংড়া উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের এক দোকান থেকে তিনজন এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার হাটদল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আরেক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তরুণেরা হচ্ছেন বাগাতিপাড়া উপজেলার কাকফো পুরাতন পাড়ার মেহেদী হাসান (২০), উপর হাটদল গ্রামের মেহেদি হাসান রনি (২২) ও রাজীব হোসেন (২৩) এবং সিংড়ার আকপাড়া-শেরকোল গ্রামের গোলাম মোস্তফা (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেহেদী হাসান। এর সূত্র ধরে প্রায় এক মাস আগে রাতে তিনি ওই তরুণীর বাড়িতে দেখা করতে যান। একপর্যায়ে ওই ঘরে প্রবেশ করেন মেহেদীর তিন বন্ধু রনি, রাজীব ও গোলাম মোস্তফা। তাঁরা মেহেদী ও ওই তরুণীর অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং তরুণীকে ধর্ষণ করেন। তবে মেহেদী ওই তরুণীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেওয়ায় তিনি ঘটনাটি গোপন রাখেন। ভুক্তভোগী তরুণী গতকাল বাগাতিপাড়া থানায় গিয়ে মেহেদীসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ওই তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। মামলার চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগকারী তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এক তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মেহেদি হাসান ওরফে সবুজ (২৪), তাঁর ভাই সাকিব হোসেন (২০) ও মো. গোলাম রসুল ওরফে রাকিব (২১)। তাঁদের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামে।
সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। পেশায় তিনি একজন মডেল ও পারলারের রূপবিশেষজ্ঞ। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের পরিচয় হয়। কয়েক মাস কোনো কাজ না থাকায় তিনি বাড়িতে বেকার বসে ছিলেন। গোলাম রসুলের সঙ্গে পরিচয়ের একপর্যায়ে তিনি ভারতে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে তাঁর কথায় ২২ মার্চ তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেদি হাসান ও গোলাম রসুল তাঁকে নিয়ে মেহেদির বাড়িতে নিয়ে রাখেন।
ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, রোববার গ্রেপ্তার মেহেদির বাড়ি থেকে তাঁকে কদমতলা গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচেতন করার পর একে একে কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সোমবার তাঁকে শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামে একজনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার আবার তাঁকে কয়েকজন ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে আবার মেহেদির বাড়িতে আনা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে ৯৯৯ নম্বর কল করলে দুপুরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
সাতক্ষীরার ওই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সোমা রানী দাস বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি অসুস্থ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল রশিদ মোল্যা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ওই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।