হোয়াটসঅ্যাপে লিংকের প্রিভিউ দেখা না গেলে যা করতে হবে
Published: 26th, March 2025 GMT
হোয়াটসঅ্যাপের লিংক প্রিভিউ সুবিধা কাজে লাগিয়ে অন্যদের পাঠানো লিংকযুক্ত যেকোনো বার্তার প্রিভিউ দেখা যায়। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের লিংকের সঙ্গে শিরোনাম ও ছবি দেখা যায়। ফলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করেও লিংকে থাকা তথ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব। তবে কখনো কখনো হোয়াটসঅ্যাপে লিংক প্রিভিউ কাজ করে না। তখন অন্যদের পাঠানো ওয়েবসাইটের লিংকের প্রিভিউ দেখা যায় না, যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হোয়াটসঅ্যাপে লিংক প্রিভিউ কাজ না করলে সেটি চালুর পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
হোয়াটসঅ্যাপে লিংক প্রিভিউ চালুর জন্য প্রথমে স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা তিনটি ডট মেন্যুতে ট্যাপ করার পর সেটিংস থেকে প্রাইভেসি অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবার পরের পেজে স্ক্রল করে অ্যাডভান্সড অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর ডিজঅ্যাবল লিংক প্রিভিউয়ের পাশে চালু থাকা টগলটি বন্ধ করলেই অন্যদের পাঠানো ওয়েবসাইটের লিংকের প্রিভিউ দেখা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প
এছাড়াও পড়ুন:
মোটরসাইকেলের জন্য ডেকে নিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলে ইয়াছিন মোল্যা হত্যা মামলায় হোসাইন মোল্যা ওরফে হামজা (২১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে নড়াইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষনার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হোসাইন মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ইয়াছিন মোল্যা একটি লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না মেলায় দুই দিন পর ১৮ জানুয়ারি ইয়াছিনের বোন নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এরপর ২২ জানুয়ারি দুপুরে পুলিশ জানায়, আলোকদিয়া ঈদগাহগামী ইটের রাস্তাার পাশে ইয়াছিনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনার তদন্তকালে পুলিশ হোসাইন মোল্যা ও মো. হাসিব খান নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মেলা দেখার কথা বলে কৌশলে ইয়াছিনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। মধ্যরাতে আলোকদিয়া গ্রামে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গোপন করতে খেজুর গাছের শুকনা পাতার নিচে ঢেকে রাখা হয় এবং তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। ২৩ জানুয়ারি ইয়াছিনের বাবা বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক বুধবার বিকালে রায় ঘোষণা করেন। এতে হোসাইন মোল্যার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন। তবে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঢাকা/শরিফুল/টিপু