ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইট-বালু ব্যবসায়ী মীর জুবায়ের হোসেন হত্যা মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুকবুল হোসেনের ছেলে রায়হান হোসেন (৩০), শফিকুর রহমানের ছেলে ইফতেখার রহমান সেজান (৩০), হাসেম তপদাদের ছেলে সোহাগ তপদার (৩০) ও হারুন শেখের ছেলে মাসুদ শেখ (৩৫)। তারা সবাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভ্যাড্ডা পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

গত ২২ মার্চ প্রকাশ্য দিবালোকে গোলামবাজার আবু বক্কর সিদ্দীক এন্টারপ্রাইজের সামনে ব্যবসায়ী মীর জুবায়ের হোসেনকে বিএনপিতে যোগদানকারী মোল্লা ফারুকের নেতৃত্বে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মীর হামিদুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাসী মোল্লা ফারুকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী মোল্লা ফারুকের ডানহাত আওয়ামী লীগ নেতা সোবহান মিয়া, আমির হোসেন, সবুজ আলী, সাকিব হোসেন, জাবেদ আলী ও আব্দুর রহিম পলাতক রয়েছে।

বাদী মীর হামিদুর রহমান বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বিএনপি নেতা মোল্লা ফারুক লোকজন।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার বলেন, ইট-বালু, সিমেন্ট ও জমির ব্যবসার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোল্লা ফারুকের নেতৃত্বে যুবায়ের হোসেনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। মঙ্গলবার গভীর রাতে র‌্যাব-১০ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ৫ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি

নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে ক্ষমা করেছেন।

মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নেটওয়ার্ক বলেছে, জান্তাপ্রধানের ঘোষণায় কমপক্ষে ২২ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন কারাগারে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ১৯৭ রাজনৈতিক বন্দিকে আটক রাখা হয়। এই বন্দিদের মাঝে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিও রয়েছেন। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা আইন অমান্য করলে বাকি সাজা ভোগ করতে হবে। ইরাবতী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ