চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার একটি মাদ্রাসায় ৯ বছরের এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আফনানকে (২৬) পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে মাদ্রাসার নির্দিষ্ট কক্ষে ঘুমাতে গিয়েছিল শিশুটি। এ সময় শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন শিশুটি বাড়িতে চলে আসে। পরে মাদ্রাসায় ফিরতে না চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শিশুটি পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। এরপর শিশুটির পরিবার স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করেন। গতকাল রাত নয়টার দিকে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পিটুনি দেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

গতকাল রাতে এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ আফনানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। শিশুটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষক এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষক পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখনে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি আন্দোলনকারীদের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার বিকেলে ‘শোকের গ্রাফিতি এক দফার ডাক’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন করা হয়। এতে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়।

কুয়েটে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ