সিলেটে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন, ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 26th, March 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ইসিএভুক্ত (প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা) স্থানে ভারী যন্ত্রপাতি (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে অবাধে বালু ও পাথর উত্তোলন করায় ৩১ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অনেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার গোয়াইনঘাট থানায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজ বুধবার সকালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এ মামলা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইসিএভুক্ত এলাকায় নদীর পাড়, পাড়সংলগ্ন জমি, জুমপাড়ের বেড়িবাঁধ থেকে অবাধে গর্ত করে বালু ও পাথর উত্তোলন করার কারণে জাফলং-ডাউকী নদীর ভূমি ও ভূমির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট বা পরিবর্তন এবং প্রতিবেশব্যবস্থার ক্ষতিসাধন করায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরানকে। আসামি তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে আছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ মো.
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে রাতের বেলা ভারী যন্ত্রপাতি (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে বালু ও পাথর উত্তোলনের জন্য গর্ত করে রাখে। দিনের বেলায় কয়েক শ শ্রমিক দিয়ে এসব গর্ত থেকে পাথর সংগ্রহ করা হয়। গত সোমবার সেখানে এক অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, কয়েক শ শ্রমিক পাথর উত্তোলনের কাজ করছেন। অভিযানকারী দল উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকেরা পালিয়ে যান। তবে ওই দিন পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ২০টি মেশিন, মেশিনের পাইপ ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ধ্বংস করা হয়। কয়েকটি এক্সকাভেটরও অকেজো করা হয়।
আসামিরা জাফলং এলাকার পাথর ব্যবসায়ী, স্টোন ক্রাশিং প্ল্যান্টের মালিক, ট্রাক শ্রমিক সংগঠনের নেতা, স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এবং জমির মালিক ও দখলদার বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, আসামিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে আগেও পরিবেশ অধিদপ্তর একাধিক মামলা করেছে। এরপরও তাঁরা বেআইনি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রিশাদ আসলে কতটা ভালো, কতটা খারাপ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সময়টা রিশাদ হোসেনের। যেখানেই হাত দিচ্ছেন, সেখানেই ফলছে সোনা। টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে জাতীয় দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার বললেও হয়তো ভুল হবে না।
ফরচুন বরিশালকে বিপিএলে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার এখন পিএসএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও। গত এক-দেড় বছর রিশাদের এই উত্থানের সময়ে তিনি আসলে কতটা ভালো করেছেন? পরিসংখ্যান কী বলছে?
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ভালো না খারাপ, সেটা বিচারের দুটো মানদণ্ড আছে—বিশ্বমান ও দেশি মান। রিশাদকে তাই নতুন করে বিচারের প্রশ্ন এই কারণেই উঠছে। এই লেগ স্পিনার আসলে কোন মানের?
২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৮ জন স্পিনার ৫০ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। রিশাদ তাঁদের মধ্যে একজন। তাঁর উইকেট ৬০টি। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ৯৬টি। শুধু স্পিনার নয়, এ সময় পেসারদের উইকেটসংখ্যা বিবেচনায়ও হাসারাঙ্গার উইকেট সবচেয়ে বেশি।
৬০২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিশাদের টি–টোয়েন্টি উইকেটের সংখ্যা৬০ উইকেট নেওয়ার পথে রিশাদ ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৭.৯২ করে। কমপক্ষে ৫০ উইকেট নেওয়া স্পিনারদের মধ্যে রিশাদের চেয়ে বেশি ইকোনমি রেটে রান দিয়েছেন শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার তাব্রেইজ শামসি ও ভারতের রবি বিষ্ণয়। হাসারাঙ্গা থেকে শুরু করে নূর আহমদ, রশিদ খানরা সবাই রিশাদের চেয়ে ওভারপ্রতি কম রান খরচ করেছেন।
আরও পড়ুনঅবসরের সময় হয়ে গেছে—আইপিএলে ‘সুপার ফ্লপ’ রোহিতকে নিয়ে শেবাগ৪ ঘণ্টা আগেরিশাদ অবশ্য একটি জায়গায় অনেকের চেয়ে এগিয়ে। সেটি ব্যাটিংয়ে। এই ১৮ জন স্পিনারের মধ্যে ৬ জন রিশাদের চেয়ে বেশি রান করেছেন (২৩২ রান)। মাত্র ৪ জন বেশি ছক্কা মেরেছেন, আর শুধু দুজন—রশিদ খান ও সুনীল নারিন—তাঁর চেয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন। রিশাদ এ সময়ে রান করেছেন প্রায় ১৫০ স্ট্রাইক রেটে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসে ৭টি ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেন