চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, চবির কর্মচারী এমরান বরখাস্ত
Published: 26th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলয়ে (চবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ প্রার্থী থেকে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যায়লের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মঙ্গলবার এই তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম এমরান হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের জেনারেল শাখার নিম্নমান সহাকারী। তাকে বহিষ্কার করে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখায় কর্মরত নিম্নমান সহকারী জনাব মো.
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি একটি চক্র হয়েছে। তারা বিভিন্নজনকে চাকরি দেবে বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে টাকার দাবি করেছেন। এ বিষয়গুলো জানার পর আমরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করি।’
বার্তায় উপ–উপাচার্য মো. এমরানকে নিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এমরান এর আগেও চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেক প্রার্থী থেকে অর্থ নিয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা তাকে ধরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছি। এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই আমরা সহ্য করব না। কেউ যদি এমন প্রতারণার শিকার হন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ কর বরখ স ত বরখ স ত এমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগে লুটপাটও ঘটতে পারে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেন ও কাউছার সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮ জন আহত হন।
আহতদের কয়েকজনকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রমজান মাসে পূর্ববিরোধের জেরে কাউছার সরকার গ্রুপের কাউছার হামলার শিকার হন। তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে শাজাহান সরকার (কাউছারের বাবা) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটকরা বুধবার জামিনে মুক্তি পান। দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপের লোকজন বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
হরিপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়কান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গত এক মাস আগে জাকিরের লোকজন কাউছারকে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে, কুপিয়ে জখম করে। এই মামলায় জাকিরসহ তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের আটক করে জেলে প্রেরণ করলে ১১ দিন পর জামিনে এসে বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর কাউসারের লোকজন ও সেখানে গেলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়।
এবিষয়ে জাকির হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সমকালকে বলেন, আমরা ১১ দিন পর জামিন পেয়ে গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকালে শুনছি আমার চাচা ডালিমকে মারছে এরপর আমরা কয়েকজন ওইখানে খাল পার হয়ে যাই। সেখানে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমার ৫ জন আহত হই। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন।
তবে বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন।
মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমকালকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশ গেছে। পুরোনো বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। ৩-৪ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে লিখিতি অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।