স্বাধীনতা দিবসে বন্ধ ঢাকার যেসব সড়ক
Published: 26th, March 2025 GMT
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ (২৬ মার্চ)। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গভবনের আশপাশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের যানবাহনগুলো সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য বঙ্গভবনের আশপাশের এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
বঙ্গভবনে অতিথিদের যানবাহনগুলো সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য বঙ্গভবনের আশপাশ এলাকায় চলাচলরত অন্যান্য গাড়ি চালকদের জন্য বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিম্ন নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য বলা হয়েছে।
১। সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স (গুলিস্তান) থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত (টয়েনবী সার্কুলার রোডে) সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
২। অ্যালিকো গ্যাপ থেকে দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা ও রাজউক ক্রসিং পর্যন্ত (ডিআইটি রোডে) সব প্রকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
৩। পার্ক রোডের উত্তর প্রান্ত থেকে ইত্তেফাক মোড় (টয়েনবী সার্কুলার রোড) অভিমুখী কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করবে না।
৪। শাপলা চত্বর ও দৈনিক বাংলা থেকে রাজউক-গুলিস্তানগামী সব বাস দৈনিক বাংলা, ইউবিএল, প্রেস ক্লাব হয়ে চলাচল (আসা-যাওয়া) করবে কিংবা অন্য কোনও সুবিধাজনক বিকল্প রাস্তায় চলাচল করবে।
৫। দৈনিক বাংলা থেকে রাজউক অভিমুখী কোনো বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করবে না। উল্লেখ্য, উল্লিখিত নির্দেশনা বঙ্গভবনে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
ওইসব সড়ক পরিহার করে অন্য কোনো সুবিধাজনক বিকল্প রাস্তায় চলাচল করার জন্য গাড়িচালকদের অনুরোধ করা হয়। এ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ফলে উক্ত রাস্তা ও এলাকাসমূহে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই ঈদ-বৈশাখে প্রণোদনা পাবেন আউটসোর্সিং কর্মীরা
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য 'সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫' জারি করেছে সরকার। নতুন এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হল—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সেবা কর্মীদের উৎসাহিত করা।
মঙ্গলবার সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে বলা হয়, এই নীতিমালা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নববর্ষের বিশেষ উপহার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নীতিমালায় পাঁচটি সাধারণ ক্যাটাগরি এবং তিনটি বিশেষ সেবার মাসিক সেবামূল্য বাড়ানো হয়েছে।
সেবাকর্মীরা বছরে দুটি উৎসবে (ঈদ) এক মাসের সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে উৎসব প্রণোদনা পাবেন। আর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী প্রণোদনা পাবেন মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে।
সেবাকর্মীদের জন্য বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাদের মৌলিক কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি সেবাকর্মীকে দুটি করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় তা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নারী কর্মীদের জন্য রয়েছে ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীবান্ধব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা।
সেবাকর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়। তাদের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
সেবামূল্য সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দেওয়া হবে। এবং মাসিক সেবামূল্য পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেবাকর্মীদের সেবামূল্য ও প্রণোদনার পরিমাণ অর্থ বিভাগের সময়োপযোগী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
নির্ধারিত সেবাঘণ্টাকে সেবা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবার প্রয়োজন হলে, অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।