রোজায় গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীর বিধান
Published: 26th, March 2025 GMT
গর্ভবতী নারী যদি রোজা রাখার কারণে তার কষ্ট না হয় এবং গর্ভস্থিত শিশুর ওপর প্রভাব না পড়ে, তা হলে তাকে রোজা রাখতে হবে। দুর্বল হলে রোজা রাখবে না। বরং গর্ভস্থিত শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে রোজা না রাখা তার জন্য ওয়াজিব। বরং প্রসবের পরে কাজা আদায় করে নেবে।
রোজা পালন করলে অনেক সময় শিশুকে দুধ পান করানোর সমস্যা দেখা দেয়। রোজার কারণে দুধ কম হলে বা শিশুর ক্ষতি হলে রোজা রাখবেন না। পরে কাজা আদায় করবেন, (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৫০; ফাতাওয়া দারুল উলুম, ৬/৪৭)
তিনটি জরুরি বিধান মনে রাখুন
১.
২. প্রসূতিকাল ৪০ দিন। এ-সময় তিনি রোজা রাখবেন না। যদি ৪০ দিন হওয়ার আগে পবিত্র হয়ে যান, তাহলে রোজা রাখবেন এবং নামাজের জন্য গোসল করে নেবেন। (আপকে মাসায়েল, ৩/২৭৮)
৩. দুধ পান করালে রোজা ভাঙে না, অজুও নষ্ট হয় না। (ফাতাওয়া দারুল উলুম, ৫/৪০৮)
আরও পড়ুনরমজানে ৬টি অভ্যাস১০ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেন দেখে বাড়ি ফেরা হলো না নানা-নাতনির
ঈদের ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহা। নানা বাবুল সরদার শখ করে নাতনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রেন দেখাতে। কিন্তু দেখে আর ঘরে ফেরা হলো না তাদের। নানাবাড়িতে ঈদ করা হলো না শিশু মুনতাহার। ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে দু’জনই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী-খুলনা রুটের বাঘইল দোতলা সাঁকোর ওপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদের ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল মুনতাহা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নানা বাবুল সরদার তাকে নিয়ে বাঘইল দোতলা সাঁকোর ওপরে ওঠেন।
এ সময় ট্রেনের একটি সান্টিং ইঞ্জিনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবুল সরদার। মুনতাহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, নাতনিকে ট্রেন দেখাতে এসে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।