ফরিদপুরে সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীর সহযোগী কাউসার গ্রেপ্তার
Published: 26th, March 2025 GMT
ফরিদুপুরে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কাউসার আকন্দকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা তসলিম প্রামাণিক (৩০) নামের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লার ঝিলটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাউসার ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাউসার আকন্দ ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার তালতলা এলাকার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী দুলাল আকন্দের ছেলে।
কোতোয়ালি থানা–পুলিশ জানায়, ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন কাউসার। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকরের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
কাউসার আকন্দের বাড়ি ফরিদপুর সদর হলেও তিনি ভাঙ্গায় গিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। ফরিদপুর-৪ আসনের এলাকাভুক্ত বিভিন্ন সভা–সমাবেশে তাঁকে দেখা যেত। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ভাঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার বলেন, কাউসারকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ওই দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আকন দ সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একসঙ্গে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
বরগুনার পাথরঘাটায় বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতরা আপন তিন ভাই। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নের সোনার বাংলা স্কুলের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মঠবাড়িয়া উপজেলার বাইশকুড়া ইউনিয়নের টিকিকাটা গ্রামের নাসির খানের ছেলে নাঈমুজ্জামান শুভ (২২), মো. শান্ত (১৪) ও মো. নাদিম (৮)। এ ঘটনায় বাসের ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাথরঘাটা থেকে রাজিব পরিবহন নামে একটি খালি বাস বেপরোয়া গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। অপরদিকে মঠবাড়িয়া থেকে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন তিন ভাই। মুখামুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ড্রাইভার ও হেলপাকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানা হেফাজতে নেয়।
নিহতদের বাবা নাসির খান জানান, তার বড় ছেলে নাঈমুজ্জামান শুভ শুক্রবার ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। শুভর মামাত ভাই তার বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করে তার কাছে দেয়। সেগুলো পৌঁছে দিতে তাঁর তিন ছেলে মঠবাড়িয়া থেকে পাথরঘাটায় যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, এ ব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।