মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল সোয়া ৬টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এর আগে, একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.

সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা একযোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব চ রপত র

এছাড়াও পড়ুন:

দৌলত‌দিয়ায় যা‌ত্রী ও যানবাহ‌নের চাপ বাড়‌লেও নেই ভোগা‌ন্তি

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে ঘুরমুখো যাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের পরিবহনের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে চলাচল করছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলো দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের পরিবহন নিয়ে পৌঁছাচ্ছে  পাটুরিয়া থেকে। লঞ্চে করেও এই ঘাটে আসছেন অগণিত মানুষ।

শ‌নিবার (২৯ মার্চ) সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গে‌ছে। নির্বিঘ্নে নদী পার হতে পারায় তাদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ। 

আরো পড়ুন:

৯ দিনের ছুটি, ফাঁকা হচ্ছে নরসিংদী

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি ও লঞ্চে দৌলতদিয়ায় আসছেন ঘরমুখো মানুষরা। ঘাটে নেমে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের অনেককেই মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলে চড়ে রওনা হতে দেখা গেছে।

ঘাটে যানজট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাচঞ্চল থেকে আসা পরিবহনগুলোকে সরাসরি ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে। 

ঢাকা থে‌কে আসা রুহুল আমিন ব‌লেন, “গ্রা‌মের বা‌ড়ি‌তে ফির‌ছি। ভো‌রে গাবত‌লি থে‌কে বা‌সে উ‌ঠে পাটু‌রিয়া ফে‌রিঘা‌টে এ‌সে‌ছি। ফে‌রি‌তে উ‌ঠে দৌলত‌দিয়া ঘা‌টে নামলাম। প‌থে ও ফে‌রি ঘা‌টে কোন ভোগা‌ন্তি ছিল না।” 

মা‌রিয়া নামে অপর যাত্রী ব‌লেন, “বাবা ঢাকা‌তে চাক‌রি ক‌রে। যে কার‌ণে মা ও আ‌মিও ঢাকা‌য় থা‌কি। গ্রা‌মে দাদা-দা‌দি ও অন্য স্বজনরা থাকেন। তা‌দের সঙ্গে ঈদ কর‌তে বা‌ড়ি‌তে যা‌চ্ছি। অ‌নেক দিন পর বা‌ড়ি‌তে খুবই আনন্দ হ‌চ্ছে। ভোগা‌ন্তি ছাড়াই ফেরি পারাপার হতে পেরে আনন্দ লাগছে।”

লঞ্চ যা‌ত্রী রেজাউল ইসলাম ব‌লেন, “সড়‌কে ভোগা‌ন্তি‌ ছিল না। লঞ্চ ও ফে‌রি ঘা‌টেও ভোগা‌ন্তি নেই। ঘ‌রে ফেরা মানুষগু‌লো অনেক আরামেই বা‌ড়ি‌তে ফির‌তে পার‌ছেন।”

বিআইড‌ব্লিউ‌টি‌সি দৌলত‌দিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউ‌দ্দিন ব‌লেন, “সকাল থে‌কে যা‌ত্রী ও যানবাহ‌নের চাপ বে‌ড়ে‌ছে। ঘাট  যানজট বা ভোগা‌ন্তি নেই। ঈ‌দে ঘ‌রে ফেরা যা‌ত্রীরা নির্বিঘ্নে ফে‌রি পার হ‌য়ে চ‌লে যা‌চ্ছেন। এই নৌরু‌টে ১৭টির ম‌ধ্যে ১৬টি ফে‌রি দি‌য়ে যানবাহন পারাপার করা হ‌চ্ছে।”

ঢাকা/রবিউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ