Risingbd:
2025-03-27@23:22:45 GMT

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

Published: 26th, March 2025 GMT

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

আজ ২৬ মার্চ, ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনার সূচনা দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ডাক এসেছিল দেশকে পাকিস্তানি হানাদারের কবল থেকে মুক্ত করার। আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। জাতি অর্জন করেছিল একটি দেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.

সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।

পুরো জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের। অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা জানাবে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে অসামান্য আত্মত্যাগকারী বাংলার অকুতোভয় বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী মহান নেতাদের। পাশাপাশি দেশ আজ মেতে উঠবে স্বাধীনতার উৎসবের আমেজে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।  

২৬ মার্চ সকালে ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। 

এছাড়া, জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। আজ সরকারি ছুটি থাকবে। 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি, হাডুডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।

দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ উন্মুক্ত রাখা হবে এবং বিনা টিকিটে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ও উপজ ল পর য য় দ বসট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মহান স্বাধীনতা উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ইতোমধ্যে সৌধ মিনারসহ পুরো চত্বরের হাঁটার পথ, বেদি, স্থাপনা সেজেছে রঙ-তুলির আঁচড়ে। বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে রঙ-বেরংয়ের বাহারি ফুল।

বুধবার (২৬ মার্চ) ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সারা দেশ। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পালন করা হবে নানা কর্মসূচি। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির যে বীর সন্তানেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে সমগ্র জাতি। 

এদিন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামবে স্মৃতিসৌধে।

স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্মৃতিসৌধ চত্বরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। ইটের পথ, শহীদ বেদি ও গণকবর ধোয়ামোছার পর সাদা রঙের শুভ্র আভায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। বৃক্ষরাজির প্রাঙ্গণ আর সবুজ ঘাসের গালিচা কেটে-ছেঁটে নান্দনিক করে তোলার কাজও শেষ করেছেন গণপূর্তের কর্মচারীরা।

স্মৃতিসৌধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান,  ২৬ মার্চ (বুধবার) স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। ফুল, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁরা। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষে নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ।

গত রবিবার স্মৃতিসৌধ চত্বর ঘুরে দেখা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা। এদের মধ্যে কয়েকজন মিলে সড়কের পাশে ফাঁকা জায়গায় পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাসের চারা রোপণ করছেন। স্মৃতিসৌধ চত্বর পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে, রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বেদিসংলগ্ন সিঁড়িগুলো। সবুজ ঘাসের গালিচা কেটেছেঁটে নান্দনিক করে তোলা হচ্ছে। পুরোনো ফুলের গাছগুলোকে পরিচর্যা করার পাশাপাশি রোপণ করা হয়েছে নানা জাতের ফুলের গাছ। ভবনের দেয়ালে ঝোলানো হয়েছে বর্ণিল আলোকবাতি। 

স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলের চারা রোপণ করা আব্দুল মতিন বলেন, “স্মৃতিসৌধে শহীদদের কবর রয়েছে। এটি দেশের স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভ। এখানে কাজ করতে আমার কাছে ভালোই লাগে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করতেছি।”

সবুজ ঘাসের গালিচা কেটেছেঁটে নান্দনিক করার কাজ করা রওশন মিয়া বলেন, “ঘাস কেটে, ফুলের চারা লাগিয়ে স্মৃতিসৌধ সুন্দর করতেছি। এখানে কাজ করতে গর্ব হয়, ভালো লাগে।”

জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, “মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে পুরো স্মৃতিসৌধ চত্বর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিপাটি করা হয়েছে। এছাড়া পুরো চত্বরে ফুল দিয়ে সাজানো, রং তুলির কাজ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আলোকসজ্জা, লেক সংস্কারসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা এ কার্যক্রমে শতাধিক কর্মী কাজ করেছেন । নিরাপত্তার লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সংরক্ষিত করা হয়েছে। ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।” 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, “মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষে প্রায় ৪ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাভার উপজেলার আমিন বাজার থেকে শুরু করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ককে ১২ টা সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। সেক্টর অনুসারে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এই পুরো এলাকাটি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। ২৬ মার্চ ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে এই মহাসড়কে দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি না ছাড়ার জন্য পরিবহন মালিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে। সকাল সাড়ে ৭ টার পর মহাসড়কের এই অংশটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই সময়ে পরিবহন চালকদের প্রতি বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ থাকবে।”

ঢাকা/সাব্বির/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা নদীতে বারুণীর স্নানে পুণ্যার্থীর ঢল
  • বেরোবিতে হঠাৎ আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
  • সৌদি আরবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
  • স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মহানগরী জামায়াতের আলোচনা সভা 
  • মহান স্বাধীনতা দিবসে ‘সীমান্ত গৌরবে’ বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা
  • জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার
  • বীর সন্তানদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে জাতি
  • বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
  • মহান স্বাধীনতা উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ