ঈদের আগে বাড়িতে হেয়ার স্পা করার দুইটি পদ্ধতি
Published: 26th, March 2025 GMT
ঈদের আগে হেয়ার স্পা করার জন্য পার্লারে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগতে পারে। ঝলমলে চুল পেতে ঘরোয়া ক্রিমে নিজেই হেয়ার স্পা করে নিতে পারেন। নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন স্পা ক্রিম। এই আর্টিকেলে দুই ধরনের স্পা ক্রিম বানানোর উপায় জানিয়ে দিচ্ছি।
নারকেলের দুধ: এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যাদের চুল ভীষণ রুক্ষ এবং যারা বার বার চুল সোজা করার যন্ত্র ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই ক্রিমটি বিশেষ ভাবে উপযোগী। মাথার ত্বকের গভীরে গিয়ে চুল আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে নারকেলের দুধ।
ক্রিম বানানোর উপায়: একটি পাত্রে নারকেলের দুধ নিয়ে নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি কম আঁচে নেড়ে ঘন ক্রিমের মতো বানিয়ে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। এবার দিন ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল। সব উপকরণ খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিলেই ক্রিমের মতো হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন:
হাতে মেহেদি লাগানোর আগে-পরে করণীয়
ঈদের আগে বাড়িতেই করে নিন পেডিকিউর
অ্যালোভেরা ক্রিম: অ্যালোভেরা জেল দিয়ে স্পা ক্রিম বানানোর জন্য ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে ক্যাপসুলের তরলটি যোগ করুন। এবার ১ টেবিল চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ক্রিম।
কীভাবে স্পা ক্রিম ব্যবহার করবেন: প্রথমে চুল শ্যাম্পু করে নিন। তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছে ফেলুন। চুল হালকা ভেজা থাকা অবস্থায় ঘরে বানানো নারকেলের ক্রিম বা অ্যালোভেরা ক্রিম মাথার ত্বক থেকে প্রতিটি চুলে হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে লাগিয়ে নিন। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে, সেটি নিংড়ে নিয়ে পানির ভাপ চুলে দিতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিম্পাঞ্জি মানুষের মতো প্রকৌশলবিদ্যার চর্চাও করে
শিম্পাঞ্জি বুদ্ধিমান প্রাণী বলে বেশ আলোচিত। শিম্পাঞ্জি বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রীতিমতো মানব প্রকৌশলীর মতো আচরণ করে শিম্পাঞ্জি। নিজেদের কাজের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গাছপালা বেছে নেয়, যা নমনীয় উপকরণ সরবরাহ করে। তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে শিম্পাঞ্জিদের দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা। শিম্পাঞ্জির এই প্রকৌশলচর্চার খবর ‘আইসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশও করেছেন তাঁরা।
‘আইসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, শিম্পাঞ্জি সরঞ্জাম তৈরিতে বিশেষ ধরনের সহজাত প্রকৌশলক্ষমতা ব্যবহার করে, যা অনেকটা আদি মানুষের সরঞ্জাম বিবর্তনের প্রতিফলনের মতোই। শিম্পাঞ্জি নিজেদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ক্ষণস্থায়ী সরঞ্জাম তৈরি করে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রকৌশলগত নির্ভুলতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে শিম্পাঞ্জির। মানবসভ্যতার শুরুতে এমন প্রযুক্তিগত বিবর্তন কেমন ছিল, তা জানতে শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা।
আরও পড়ুনশিম্পাঞ্জি কি সত্যিই মানুষের মতো কথা বলতে পারে৩১ জুলাই ২০২৪গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, শিম্পাঞ্জি যে গাছপালা কখনো ব্যবহার করে না, তা নিয়ে যন্ত্র বানাতে আগ্রহী নয়। নিজেদের পছন্দের উপকরণ দিয়ে প্রকৌশল চর্চা করে তারা। গবেষণায় উইপোকা ধরার সময় শিম্পাঞ্জি কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী আলেজান্দ্রা পাস্কুয়াল-গারিডো বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করেছি। বন্য শিম্পাঞ্জি উইপোকা ধরার সরঞ্জাম তৈরির জন্য নির্দিষ্ট যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহার করে সরঞ্জাম তৈরির উপকরণ নির্বাচন করে।’
গবেষকদের তথ্যমতে, সরঞ্জাম ভাগাভাগির মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাও পরস্পরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে শিম্পাঞ্জি। শিম্পাঞ্জি সম্ভবত একধরনের লোক পদার্থবিদ্যা অনুসরণ করে। যার অর্থ শিম্পাঞ্জি বস্তুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সহজাত ধারণা ধারণ করে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী পাস্কুয়াল-গারিডো বলেন, ‘বায়োমেকানিকসের সমন্বয়ে গঠিত এ অভিনব পদ্ধতিটি আমাদের শিম্পাঞ্জির সরঞ্জাম নির্মাণের পেছনের জ্ঞানীয় প্রক্রিয়া ও কার্যকর বৈশিষ্ট্য জানতে সহায়তা করছে। শিম্পাঞ্জির ওপর এমন গবেষণার ফলাফল মানুষ অতীতে কীভাবে সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষমতা অর্জন করেছে, তা জানতে নতুন তথ্য দিতে পারে।’
সূত্র: এনডিটিভি