Prothomalo:
2025-03-26@12:15:52 GMT

সন্‌জীদা খাতুনের এক জীবন

Published: 26th, March 2025 GMT

জন্ম: ৪ এপ্রিল ১৯৩৩।
পরিবার: বাবা জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন, মা সাজেদা খাতুন।
পারিবারিক নাম: বাবা কাজী মোতাহার হোসেন সন্‌জীদা খাতুনকে ছোটবেলায় আদর করে তোনালি (সোনালি) বলে ডাকতেন।
গানের গুরু: প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। এরপর তিনি শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনদের মতো বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীদের কাছে তালিম নেন।
প্রথমবার মঞ্চে: ঘরোয়া আসরের বাইরে প্রথমবার মঞ্চে গান করেছেন নারায়ণগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে। গানটি লিখেছিলেন পল্লিগীতির শিল্পী হাসান আলী খাঁ।
পড়াশোনা: কামরুন্নেসা স্কুল, ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

পেশা: অধ্যাপনা। ইডেন কলেজ, কারমাইকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা শেষে অবসরে যান।
আন্দোলন: শৈশবে শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে যোগ দিয়েছিলেন ব্রতচারী আন্দোলনে। কাজ করেছেন মুকুল ফৌজেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিলেন সক্রিয়।
ছায়ানট প্রতিষ্ঠা: ১৯৬১ সালে পাকিস্তানি শাসকদের বাধা উপেক্ষা করে রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন এবং তার সূত্র ধরে পরে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট গঠনে অনেকের সঙ্গে সন্‌জীদা খাতুন ছিলেন নেতৃস্থানে।

সহশিল্পীদের সঙ্গে রমনার বটমূলে গাইছেন সন্‌জীদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নাটকীয় ম্যাচে ইতালিকে হারিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনালে জার্মানি

রোববার দিবাগত রাতে উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের প্রথমার্ধেই দুর্দান্ত খেলে জার্মানি। জোশুয়া কিমিখের এক পেনাল্টি গোল এবং তার দুটি দুর্দান্ত অ্যাসিস্টে জামাল মুসিয়ালা ও টিম ক্লেইনডিনস্ট গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির দারুণ প্রত্যাবর্তনে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানের জয়ে প্রথমবার উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় জার্মানির।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে ইতালি। ময়েস কিন জোড়া গোল করে স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেন। ৭৩তম মিনিটে ইতালি পেনাল্টি পেলেও ভিএআর সেটি বাতিল করে। তবে, যোগ করা সময়ে জিয়াকোমো রাসপাদোরি পেনাল্টি থেকে গোল করলে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় জার্মানি।

প্রথম লেগে মিলানে ২-১ ব্যবধানে হারের পর ইতালি ডর্টমুন্ডে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। ইনজুরির কারণে রিকার্ডো কালাফিওরি, আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো, মাতেও রেতেগুই এবং ফেদেরিকো ডিমার্কোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই এদিন খেলতে নামে ইতালি।  

আরো পড়ুন:

রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে সেমিফাইনালে পর্তুগাল

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভিন্ন ভাবনায় তপু বর্মন

ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্পাল্লেত্তি ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের অসম্ভব কিছু করতে হবে।’’ কিন্তু জার্মানি ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। তাদের প্রথম গোল আসে পেনাল্টি থেকে। যেখানে আলেসান্দ্রো বুয়নজিওর্নো বক্সের ভেতরে ক্লেইনডিনস্টকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। আর কিমিখ স্পট কিক থেকে গোল করেন।

এরপর, ইতালির গোলরক্ষক জানলুইজি ডোন্নারুম্মা জার্মানির ক্লেইনডিনস্টের একটি হেড রুখে দিলেও, দ্রুত নেওয়া কর্নার থেকে কিমিখের পাসে মুসিয়ালা সহজেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ক্লেইনডিনস্টের আরেকটি হেড ডোন্নারুম্মা আটকালেও, এবার বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। রেফারি তার ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করে গোল নিশ্চিত করলে মাঠে উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাগতিক দর্শকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি তাদের গতি কিছুটা কমিয়ে দিলে সুযোগ নেয় ইতালি। ৪৯তম মিনিটে ময়েস কিন একটি ঢিলেঢালা বল পেয়ে গোল করেন। এরপর, স্পাল্লেত্তি রাসপাদোরিকে মাঠে নামান, যিনি ৬৮তম মিনিটে দারুণ এক পাস বাড়ান কিনের উদ্দেশে। কিনের নিখুঁত শটে জার্মানির গোলরক্ষক অলিভার বাউমান পরাস্ত হন।

৭৩তম মিনিটে ইতালি আরও একটি সুযোগ পায়, যখন রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু ভিএআর চেক করে সেটি বাতিল করে। যোগ করা সময়ে রাসপাদোরি আরও একটি পেনাল্টি থেকে গোল করলেও, তা শুধু ব্যবধান কমানোর কাজেই আসে। শেষ পর্যন্ত, জার্মানি দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুটপাতে এককাতারে ধনী-গরিবের ইফতার
  • আথিয়া-রাহুল প্রথমবার মা-বাবা হলেন
  • প্রথমবার মা-বাবা হলেন আথিয়া-রাহুল
  • নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য
  • নাটকীয় ম্যাচে ইতালিকে হারিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনালে জার্মানি