মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি পেলেন রেকর্ড ক্ষতিপূরণ
Published: 26th, March 2025 GMT
হত্যার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার আগে প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের সাজা ভোগ করেছেন জাপানি নাগরিক আইয়াও হাকামাতা (৮৯)। তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২১৭ মিলিয়ন ইয়েন (১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার) দেওয়া হবে।
আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, এটি ফৌজদারি মামলায় দেশের সর্বকালের বৃহত্তম অর্থ প্রদান। ১৯৬৮ সালে হাকামাতাকে তাঁর বস, বসের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তানকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পুনর্বিচারে গত বছর এই অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি।
হাকামাতার আইনজীবীরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ চেয়ে যুক্তি দেন যে, তাদের মক্কেলকে ৪৭ বছর বিনা অভিযোগে জেলের পেছনে কাটাতে হয়েছে। যার জেরে হাকামাতা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হয়ে উঠেছেন। আলজাজিরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাসসের এমডি মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
মানহানির অভিযোগে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (এমডি) মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও কবি আবদুল হাই শিকদার। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার তিনি এ মামলা করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক ব্যক্তি। মামলায় আসাদকে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলার বিবাদী মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনকে আগামী ২৮ এপ্রিল হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই আইনজীবী আরও বলেন, তাঁর মক্কেল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত একজন সাংবাদিক ও কবি। তাঁর সম্পর্কে ফেসবুকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ তিনজন বিবাদী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তিন বিবাদীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ জানুয়ারি মাহবুব মোর্শেদ তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। সেটি আবদুল হাই শিকদারের লেখা বলে আসামিরা দাবি করেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, আবদুল হাই শিকদারকে নিয়ে মামলার আসামিদের তথ্যগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই কবিতা বিবাদীরা নিজেরা তৈরি করেছে। এগুলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বাদীর সম্মানহানি হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।