আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের পথে ইতিহাসখচিত এ দিনকে উদযাপন করতে গুগল তাদের হোম পেজে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করেছে। গুগল সার্চ বক্সের ওপর থাকা এই ডুডল সেজেছে বাংলাদেশের পতাকার রঙে। চারপাশে লাল রং আবৃত ডুডলটির ভেতরে নীল আকাশের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে সগৌরবে। পতাকার নিচেই রয়েছে গুগলের নাম। বুধবার রাত ১২টা পর থেকে এ ডুডল দেখা যাচ্ছে।
ডুডলের ওপর ট্যাপ করলে লেখা উঠছে ‘বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্স ডে ২০২৫’। এতে ক্লিক করার পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস ও সংশ্লিষ্ট ইতিহাসসংবলিত ওয়েবসাইটগুলো প্রদর্শন করছে।
২০১৩ সালে প্রথমবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সম্মানে ডুডল তৈরি করে গুগল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকছে না আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ থাকছে না। শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ রাখা বিষয়ে প্রাথমিক চিন্তা ছিল। কিন্তু এখন এই চিন্তা থেকে সরে আসা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, শহীদ আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ (তারা এটাকে ভাস্কর্য বলছেন না) নিয়ে প্রাথমিক স্কেচ হয়েছিল। এর মাধ্যমে আবু সাঈদের বীরত্বকে তুলে ধরার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কেউ কেউ চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আবু সাঈদের পরিবার চাইছে না, তাই এ বিষয়ে অনেকের চিন্তা থাকলেও সেখান থেকে সরে আসা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার আজাহারুল ইসলাম বলেছিলেন, এবার শোভাযাত্রায় প্রাথমিকভাবে বড় আকারের চারটি ভাস্কর্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য। আরও থাকবে একটি করে বাঘ, পাখি ও স্বৈরাচারের প্রতীকী ভাস্কর্য। আর অনেক মুখোশ থাকবে। নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে, না পরিবর্তন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সামনে আরও সময় আছে, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।