আমি তখন সদ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করে যশোর সদরের রামনগর ইউনিয়নের কাজীপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরেছি। এরই মধ্যে ৭ মার্চের ভাষণ শোনার পর আর ঘরে থাকতে পারিনি। যশোরেও সংগ্রাম কমিটি গড়ে তুলে স্বাধীনতার সপক্ষে প্রতিদিন মিছিল-সমাবেশে অংশ নিতে থাকি। স্বাধীনতাকামী যশোরবাসী পাকিস্তানি সেনাদের ঘাঁটি যশোর সেনানিবাসে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে এলো ভয়াল ২৫ মার্চ। যেদিনে যশোর সেনানিবাস থেকে সেনাসদস্যরা শহরে ঢোকার সময় মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হয়। গভীর রাতে স্বাধীনতার ঘোষণায় শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। সেই রাতেই ভেসে আসে বন্দুকের গুলির আওয়াজ। কখনও পাকিস্তানি সৈন্যদের বুটের শব্দে ছড়িয়ে যায় ভয়, কখনও খবর আসে ‘মুক্তি’ সন্দেহে তরুণ যুবাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার। পরদিন ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মশিউর রহমানকে পাকিস্তানি বাহিনী যশোর সিভিল কোর্ট এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। চারদিকের অস্থিরতায় কৃষক বাবা রফিউদ্দিন আমাদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু ২৫ মার্চ গণহত্যা ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হত্যার নির্মমতার পর আর স্থির থাকতে পারলাম না। ২৬ মার্চ সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম। রাতেই শহরের আরবপুরের আবুল কবিরাজের বাড়িতে এমএনএ অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ছুটিপুর বর্ডার দিয়ে বনগাঁয় দেরাদুন চলে যাই। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে অস্ত্র চালনায় ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেই ট্রেনিংয়ে ছিল রবিউল আলম, এ জেড এম ফিরোজ, রাজেক আহমেদ, আবদুল হাই, খয়রাত হোসেন, মতিউর রহমান, মান্নান, আবদার, শাহ রফিকুজ্জামান, আব্দুল মালেক, শেখ আবদুস সালাম, সমীর সিংহ রায়, আশরাফ চৌধুরী, ইকু চৌধুরী, মোফাজ্জেল হোসেন, সফিয়ারসহ আরও অনেকে। ট্রেনিং শেষে আমাকে বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর (লিবারেশন ফোর্স-বিএলএফ) প্রধান আর রবিউল আলমকে উপ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর দেরাদুন থেকে শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় এসে ৮ নম্বর সেক্টরের তোফায়েল আহমেদের তত্ত্বাবধানে চলে আসি। তিনি আমাদের ভারতীয় সেনাবাহিনী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করেন। যশোরে এসে প্রতিটি উপজেলা কমান্ডারের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। এসব কমান্ডার নিজ নিজ উপজেলায় তরুণদের সংগঠিত করে অস্ত্র ট্রেনিং দেন। 
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আমাদের জিপটি যশোর শহরের মুড়লি মোড়ে পৌঁছালে সেখানে থাকা পাকিস্তানি আর্মি গুলি ছোড়ে। জিপে থাকা আমার সহযোদ্ধা ওমর ফারুক শহীদ হন। সেদিন গাড়িতে থাকা আমার অপর দুই সহযোদ্ধা রবিউল আলম, আব্দুল হাইসহ আমি গাড়ি থেকে লাফিয়ে ভৈরব নদ সাঁতরিয়ে পার হই। পরে আমরা মনিরামপুর যাই। সেখান থেকে আমি আবার ভারতে যাই। সেখানে লেফটেন্যান্ট সালাউদ্দিন নামে এক বাঙালি অফিসারের কাছে আবার প্রশিক্ষণ নিই। সেই প্রশিক্ষণ শেষে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলায় ২০-২৫ জন সহযোদ্ধা নিয়ে ঘাঁটি গড়ে তুলি। এক সন্ধ্যায় সহযোদ্ধাদের নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে যুদ্ধের ব্যাপারে আলোচনা করছি। এমন সময় সংবাদ আসে, কায়েমকোলা বাজারসহ পুরো গ্রামটি পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকাররা ঘিরে ফেলেছে। সঙ্গে সঙ্গে সহযোদ্ধাদের নিয়ে পজিশন নিই। শুরু হলো যুদ্ধ। দুই ঘণ্টা ধরে চলা সেই যুদ্ধে শহীদ হন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হামিদসহ তিনজন। তবে তুমুল যুদ্ধের এক পর্যায়ে স্থানীয় মুক্তিকামী জনতা যোগ দিলে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকাররা পিছু হটে। এরপর আমাকে শার্শার লক্ষ্মণপুরে এক রাজাকারের বাড়িতে অপারেশনের জন্য পাঠানো হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় চারজন সহযোদ্ধা। তাদের নিয়ে আমি ওই রাজাকারের বাড়িতে গ্রেনেড হামলা চালাই। নিহত হয় এক রাজাকার। পরে যশোরে এসে একের পর এক অপারেশনের মাধ্যমে যশোরকে দখলদারমুক্ত করি।
রণাঙ্গনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধটি সংঘটিত হয় যশোরের চৌগাছার জগন্নাথপুর ও মসিয়ূরনগরে। ২০ নভেম্বর মুক্তি ও মিত্রবাহিনী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার বয়রা সীমান্তপথে যশোর সেনানিবাস দখলে অভিযান শুরু করে। ঝিকরগাছার ছুটিপুর থেকে মুক্তিবাহিনী যশোর সেনানিবাস লক্ষ্য করে কামানের গোলা নিক্ষেপ শুরু করে। সেনানিবাসকে অবরুদ্ধ করতে বয়রা-কাবিলপুর-গরিবপুর হয়ে এগোতে থাকে ট্যাঙ্ক বাহিনী। এদিন ছিল ঈদের দিন। সকালে চৌগাছার জগন্নাথপুরের মানুষ তৈরি হচ্ছে ঈদ উদযাপনের জন্য। এমনই একসময় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর ২০-২৫টি গাড়ি ঢোকে জগন্নাথপুর (বর্তমানে মুক্তিনগর) গ্রামে। ঈদের দিন মানুষ নামাজ পড়বে, মিষ্টিমুখ করবে– এটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাখির মতো লুটিয়ে পড়েছে মানুষ। বর্বর পাঞ্জাবি সেনারা দেখামাত্রই গুলি চালাতে থাকে। একদিনেই তারা হত্যা করে ৩০ জনকে; যাদের সবাই নিরীহ, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ। সংসদ সদস্য মসিয়ূর রহমানের ভাই আতিয়ার রহমানসহ আরও দু’জনকে পুড়িয়ে মারল ওই দানবরা। বাড়ির পর বাড়ি আগুন জ্বালিয়ে ছারখার করে দিল। অসহায় মানুষ তাদের প্রাণ বাঁচাতে যে যেদিক পারল, পালাল। সন্ধ্যায় ছদ্মবেশধারী চার মুক্তিযোদ্ধা এসে আমাদেরও অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। বললেন, রাতে বড় ধরনের যুদ্ধ হবে। জনমানবশূন্য নীরব নিস্তব্ধ জগন্নাথপুর গ্রাম সহসাই প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোলাগুলির শব্দে। শুরু হয় ভয়ংকর যুদ্ধ। মসিয়ূরনগরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামও পরিণত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। ২১ ও ২২ নভেম্বর তাদের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ ছিল দুই পদাতিক বাহিনীর সর্বাত্মক লড়াই। পদাতিক বাহিনীকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পেছন থেকে গোলন্দাজ ও বিমানবাহিনী সহায়তা করে। এ যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় হয়। পাকিস্তানি সেনারা দলে দলে খুলনার দিকে পালাতে থাকে। চৌগাছার এ যুদ্ধে পাকিস্তানের ১১টি পেটন ট্যাঙ্ক ও ৩টি শ্যাবর জেট বিমান ধ্বংস হয়। নিহত হয় অন্তত ৩০০ পাকিস্তানি সেনা। চৌগাছা যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় পাকিস্তানি বাহিনীর ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে। তাদের মনোবল ভেঙে পড়ে। রাজাকার-দালালরা পাকিস্তানি পক্ষ ত্যাগ করে দিগ্বিদিক পালাতে থাকে। সৈন্যদের মনোবল চাঙ্গা করতে ২২ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কমান্ডার নিয়াজী যশোর ক্যান্টনমেন্ট সফর করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
এর পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৬ ডিসেম্বর; পাকিস্তানি সেনাদের যশোর দুর্গের পতন। সেদিন সকালে ও দুপুরে দুই দফায় প্রচণ্ড লড়াই হয় ভারতীয় নবম পদাতিক ও চতুর্থ মাউন্টেন ডিভিশনের সঙ্গে পাকিস্তানি নবম ডিভিশনের। সুরক্ষিত পাকিস্তানি দুর্গ বলে খ্যাত যশোর ক্যান্টনমেন্টে পর্যাপ্ত সৈন্য না থাকায় পাকিস্তানি সেনারা হতোদ্যম হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাতে থাকে। মুখোমুখি সে যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান ছিল যশোর ক্যান্টনমেন্টের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে আফরায়। বাংলাদেশের ৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে গরিবপুরে মিত্র বাহিনী অবস্থান নেয়। সীমান্তের ওপারে বয়রা থেকে দূরপাল্লার কামানের শেল এসে পড়ে যশোর ক্যান্টনমেন্ট বিমানঘাঁটিতে। আফরার প্রতিরোধ ভেঙে পড়ায় পাকিস্তানি সেনাদের পালানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। হৈবতপুর ও আশপাশের গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের হত্যা করতে থাকে। এই যুদ্ধে ভারতীয় অন্তত একশ যোদ্ধা শহীদ হন। নিহত হয় বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে খুলনায় পালিয়ে যায়। এভাবেই পতন ঘটে যশোর দুর্গের। ৬ ডিসেম্বর পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস হয়ে যায় যশোর। সেদিন মুক্তিকামীদের বাঁধভাঙা উল্লাস দেখে আমার চোখের আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারিনি। 
অনুলিখন
তৌহিদুর রহমান
যশোর অফিস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন সহয দ ধ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেল শুধু আশ্বাসেই

ঢাকার সাভারে অবস্থিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পার হলেও এখনো নির্মাণ হয়নি কোনো ছাত্রীনিবাস। নানা সময় উচ্চারিত হয়েছে উন্নয়নের বুলি, সভা-সেমিনারে এসেছে প্রতিশ্রুতির পাহাড়—কিন্তু বাস্তবে অগ্রগতি নেই।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো প্রকল্প পরিকল্পনা, বাজেট বরাদ্দ কিংবা নির্ধারিত সময়সীমা। ফলে নারী শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা প্রশ্নে তৈরি হয়েছে চরম উদ্বেগ। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা, জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের পুরোধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নারীর জন্য একটি বিকল্প ধারার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। ফলশ্রুতিতে গবি গড়ে উঠলেও নারী শিক্ষার্থীদের আবাসনের কোনো ব্যবস্থা তৈরি হয়নি।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২ হাজারেরও বেশি ছাত্রী অধ্যয়নরত, যাদের অধিকাংশ সবাই বাসা ভাড়া করে কিংবা দূরবর্তী এলাকা থেকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। আবাসন না থাকায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় থাকতে গেলে এসব শিক্ষার্থীদের গুণতে হয় প্রায় ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। ফলে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবারে শিক্ষার্থীদের উপর আলাদাই চাপ তৈরি হচ্ছে, যা বহন করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে তাদের পরিবার।

পাশাপাশি রাতে চলাচলের ঝুঁকি, স্থানীয় বাড়িওয়ালা কর্তৃক হেনস্তার শিকার, ইভটিজিংসহ নানা অপ্রিতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে নিয়মিত। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে একাধিকবার আবাসন ব্যবস্থা ‘প্রক্রিয়াধীন’ বললেও তা নিয়ে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগই চোখে পড়েনি।

পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অভাবেই হল নির্মাণে নীতিনির্ধারকেরা কালক্ষেপণ করছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিমা আমিন বলেন, “আমার প্রতিদিনের যাত্রাটা যুদ্ধের মতো। বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ৪০ কিমি দূরে। প্রতিদিন লোকাল বাসে চেপে আসতে হয়। কখনো বাসে উঠতে দেয় না, কখনো অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, কখনো বাজে মন্তব্য শুনতে হয়। নতুন এলাকায় বাসা খুঁজে থাকা কষ্টকর, পরিবারও চিন্তায় থাকে সারাক্ষণ। ক্লাসে মন দিতে পারি না। এ বয়সে বাসা ভাড়া, রান্নাবান্না, নিরাপত্তা—সব মিলিয়ে জীবনটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। একটা ছাত্রী হল থাকলে অন্তত এ লড়াইটুকু করতে হতো না।” 

ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক তানিয়া আহমেদ তন্বী বলেন, “আমি একজন শিক্ষক, কিন্তু এর আগে আমি এই প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্রী ছিলাম। জানি, মেয়েদের জন্য এখানে পড়তে আসা মানে প্রতিনিয়ত এক অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুদ্ধ। একটা সময় পরে মেয়েরা ক্লাস বাদ দেয়, টিউশন নেওয়া বাদ দেয়—শুধু নিরাপত্তার জন্য।”

তিনি বলেন, “আমাদের বিশাল ক্যাম্পাসে জায়গার অভাব নেই, ইচ্ছার অভাবটাই বড়। ছাত্রীনিবাস শুধু দরকার নয়, এটি ন্যায্য অধিকার। এতে ছাত্রীরা নিরাপদ পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারবে, দূর থেকে আরও শিক্ষার্থীরা আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে থাকা তাদের জন্য বেশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হবে।” 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “হলের জন্য স্থান সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কাজগুলো চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষের দিকে নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারব।”

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ