সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে ছিল আগেই। এবার এল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ২০২৭ সালের অক্টোবর–নভম্বরে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে চুক্তি করেছেন ফিল সিমন্স।

আজ রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি থাকা এই ক্যারিবীয় কোচই থেকে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে।

গত অক্টোবরে ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন সিমন্স। দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর এ মাসে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বাংলাদেশ খেলেছে তাঁর অধীনে।

চুক্তি নবায়নের পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে বিসিবির বিবৃতিতে সিমন্স বলেছেন, ‘লম্বা সময়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। দলে প্রতিভা আছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমি বিশ্বাস করি, একসঙ্গে আমাদের দারুণ কিছু অর্জন করার সম্ভাবনা আছে। আমি এই যাত্রার দিকে তাকিয়ে আছি। ইতিমধ্যে আমি অসাধারণ কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি দলের মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা দেখি। তাদের স্কিল ও প্যাশন আমাকে প্রতিদিনই অনুপ্রাণিত করে। একসঙ্গে মিলে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব এবং বিশেষ কিছু করব।’

বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে আমার গত কয়েক মাসের যাত্রা সত্যিই ফলপ্রসূ ছিল। দলের মধ্যে যে শক্তি, প্রতিশ্রুতি ও সক্ষমতা আছে, তা মুগ্ধ করার মতো। আমি এই খেলোয়াড়দের তাদের পুরো সক্ষমতা ব্যবহার করতে সাহায্যের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আবারও কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন ফিল সিমন্স.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অহিংসবাদ, সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। এদেশ সবার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমগ্র দেশের সম্প্রদায় সম্প্রতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা করতে সদায় প্রস্তুত থাকবো।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও জাতিকে একটা শান্তির জায়গা নিয়ে যেতে চাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। সবার সমস্ত বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই একসঙ্গে এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এই উদ্দেশ্যেই আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা সবসময় এ দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা একসঙ্গে বাস করি। বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছি। সেটারই একটা প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। এটা শুধু সম্প্রীতি ভবন ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠান নয়, এখানে আমরা একটা সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ গোত্রের লোকজন আছে। আমরা আমাদের দেশটাকে এভাবেই দেখতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গরমে স্বস্তির পানীয়
  • লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
  • আংটি পরে জর্জিনা লিখলেন ‘আমিন’, তবে কি বিয়ে করছেন রোনালদো
  • বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা
  • একসঙ্গে উঠলেন নাগরদোলায়, হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা   
  • বন্ধুদের সঙ্গে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাচ্ছিলেন, জিপ থেকে ছিটকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
  • হিংসা-বিদ্বেষহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • ঘোষণা দিয়ে বন্ধ ক্যাম্পাসে ঢুকছেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা
  • পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে মারামারি, রাজনীতি এবং রক্ত দিয়ে লেখা প্রেমপত্র