দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি হবে আর্জেন্টিনার মাঠে।

এই ম্যাচে এক পয়েন্ট পেলে আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। অন্য দিকে ব্রাজিল জিতলে পয়েন্ট টেবিলে তাদের দুইয়ে ওঠার সম্ভাবনা জোরালো হবে।

তবে ব্রাজিল এই ম্যাচে সেরা একাদশ পাচ্ছে না। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে অবধারিত চারটি পরিবর্তন আনতে হবে ব্রাজিল কোচ দরিভালের। সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো দাবি করেছে, পরিবর্তন হতে পারে ছয়টি।

ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন কনকাশন ইনজুরি নিয়ে ব্রাজিলের ক্যাম্প ছেড়েছেন। তার জায়গায় শুরুর একাদশে ঢুকতে যাচ্ছেন বেন্তো। ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মাঘালহায়েস ও মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেজ কার্ড জটিলতায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। তাদের জায়গায় যথাক্রমে মুরিলো ও আন্দ্রে খেলতে পারেন।

মিডফিল্ডার জেরসন ইনজুরি নিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন। ওই পজিশনে খেলানো হতে পার জোয়েলিনটনকে। এর সঙ্গে রাইট ব্যাক হিসেবে ওয়েলসি শুরুর একাদশে জায়গা পেতে পারেন। সর্বশেষ ম্যাচে ভান্ডারসনের জায়গায় বদলি নেমে দারুণ খেলেন তিনি। এছাড়া স্ট্রাইকার পজিশনে জোয়াও পেদ্রোর জায়গায় খেলানো হতে পারে সাভিওকে।

আর্জেন্টিনার একাদশে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। ব্রাজিলের বিপক্ষে এই ম্যাচে শুরুর একাদশে রদ্রিগো ডি পলের খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে বেঞ্চে বসতে হবে লিয়ান্দ্রো পারদেসকে। 

ব্রাজিলের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: বেন্তো (গোলরক্ষক), মার্কুইনোস (ডিফেন্ডার), মুরিলো (ডিফেন্ডার), ভান্ডারসন (ডিফেন্ডার), আরানা (ডিফেন্ডার), আন্দ্রে (মিডফিল্ডার), জোয়ালিনটন (মিডফিল্ডার), রাফিনিয়া (মিডফিল্ডার), ভিনিসিয়াস (ফরোয়ার্ড), সাভিনহো (ফরোয়ার্ড), রদ্রিগো (ফরোয়ার্ড)।

আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: মার্টিনেজ (গোলরক্ষক), মলিনা (ডিফেন্ডার), ওতামেন্ডি (ডিফেন্ডার), রোমেরো (ডিফেন্ডার), ত্যাগলিয়াফিকো (ডিফেন্ডার), ডি পল (মিডফিল্ডার), এনজো ফার্নান্দেজ (মিডফিল্ডার), ম্যাক অ্যালিস্টার (মিডফিল্ডার), গিওভান্নি সিমিওনে (ফরোয়ার্ড), আলমাদা (ফরোয়ার্ড), আলভারেজ (ফরোয়ার্ড)।    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন হ ল য় ন আলভ র জ ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট ন র ফর য় র ড

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকার বাইরের মানুষের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করছে: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকা এবং বড় শহরের বাইরে নজর দিয়েছে। ঢাকার বাইরের মানুষের কী প্রয়োজন, সেটা বুঝতে চেষ্টা করছে। সেটা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আজ বুধবার ঢাকা-নরসিংদী-ভৈরববাজার-নরসিংদী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী নরসিংদী কমিউটার-১ ও নরসিংদী কমিউটার-৪ ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ফাওজুল কবির খান। আজ সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এই গন্তব্যের ট্রেনযাত্রার উদ্বোধন করা হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, গত পরশু চট্টগ্রাম থেকে সন্দীপ রুটে একটা ফেরিসেবা চালু করা হয়েছে। সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য সব উপদেষ্টা যাননি। নৌপরিবহন উপদেষ্টা ঘাট উদ্বোধনের জন্য, আর তিনি বিআরটিসি বাস উদ্বোধনের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। অন্যরা নিজ নিজ আওতাধীন বিষয়গুলো দেখতে—যেমন পরিবেশ উপদেষ্টা সেখানে বেড়িবাঁধ দেখেছেন, পরিবেশ দেখেছেন। স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী হাসপাতাল দেখেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা দেখেছেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আছে, ঢাকার বাইরে উন্নয়নকে পৌঁছাতে হবে। এ উন্নয়ন হবে নাম ফলকবিহীন উন্নয়ন। কোনো নাম প্রচার, কারও নাম ফলকে থাকবে না। যে ঘাট উদ্বোধন করা হয়েছে, সেখানে কারও নাম নেই। শুধু সময় আছে।

রেলওয়ে একটা লোকসানের প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করেন ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, এখানে প্রতি এক টাকা রোজগারের জন্য আড়াই টাকার মতো খরচ হয়। এর দুটো কারণ আছে। একটি হচ্ছে রেলওয়ের দুর্নীতি, রেলের অপচয়। দুর্নীতি যাতে কমে, অপচয় যাতে বন্ধ হয়, সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে, বিনা টিকিটে অনেক যাত্রী রেলে ভ্রমণ করেন।

যাত্রীসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, রেলের সেবার মূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এরপরও কিছু কিছু এলাকার যাত্রী ভাড়া দেন না। এভাবে চলতে থাকলে রেলের সেবা বন্ধ হয়ে যাবে। কাউকে ভাড়া দিতে না দেখলে তা রেলের নজরে আনতে অনুরোধ জানান তিনি।

নতুন গন্তব্যের যাত্রীদের উদ্দেশে ফাওজুল কবির খান বলেন, যাঁরা নরসিংদীর মানুষ, ভৈরবের মানুষ, তাঁরা সামাজিকভাবে উদ্বুদ্ধ করবেন, যাতে মানুষ টিকিট কেটে ভাড়া দিয়ে চলাচল করেন। রেলের লোকসান আরও বাড়লে এটাকে মোকাবিলা করার জন্য সেবা কমানো ছাড়া বিকল্প থাকবে না।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভৈরববাজার থেকে নরসিংদী হয়ে ঢাকা আসা প্রথম যাত্রার ট্রেনটিকে সকাল ৯টা ৬ মিনিটের দিকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তিনি ট্রেনটির বগিতে ঢুকে পরিবেশ দেখেন।

এরপর পাশের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢাকা থেকে ছেড়ে যেতে অপেক্ষায় থাকা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফাওজুল কবির খান। তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৯টা ১৩ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ