সকালে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, কেমন হবে একাদশ
Published: 25th, March 2025 GMT
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি হবে আর্জেন্টিনার মাঠে।
এই ম্যাচে এক পয়েন্ট পেলে আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। অন্য দিকে ব্রাজিল জিতলে পয়েন্ট টেবিলে তাদের দুইয়ে ওঠার সম্ভাবনা জোরালো হবে।
তবে ব্রাজিল এই ম্যাচে সেরা একাদশ পাচ্ছে না। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে অবধারিত চারটি পরিবর্তন আনতে হবে ব্রাজিল কোচ দরিভালের। সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো দাবি করেছে, পরিবর্তন হতে পারে ছয়টি।
ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন কনকাশন ইনজুরি নিয়ে ব্রাজিলের ক্যাম্প ছেড়েছেন। তার জায়গায় শুরুর একাদশে ঢুকতে যাচ্ছেন বেন্তো। ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মাঘালহায়েস ও মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেজ কার্ড জটিলতায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। তাদের জায়গায় যথাক্রমে মুরিলো ও আন্দ্রে খেলতে পারেন।
মিডফিল্ডার জেরসন ইনজুরি নিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন। ওই পজিশনে খেলানো হতে পার জোয়েলিনটনকে। এর সঙ্গে রাইট ব্যাক হিসেবে ওয়েলসি শুরুর একাদশে জায়গা পেতে পারেন। সর্বশেষ ম্যাচে ভান্ডারসনের জায়গায় বদলি নেমে দারুণ খেলেন তিনি। এছাড়া স্ট্রাইকার পজিশনে জোয়াও পেদ্রোর জায়গায় খেলানো হতে পারে সাভিওকে।
আর্জেন্টিনার একাদশে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। ব্রাজিলের বিপক্ষে এই ম্যাচে শুরুর একাদশে রদ্রিগো ডি পলের খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে বেঞ্চে বসতে হবে লিয়ান্দ্রো পারদেসকে।
ব্রাজিলের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: বেন্তো (গোলরক্ষক), মার্কুইনোস (ডিফেন্ডার), মুরিলো (ডিফেন্ডার), ভান্ডারসন (ডিফেন্ডার), আরানা (ডিফেন্ডার), আন্দ্রে (মিডফিল্ডার), জোয়ালিনটন (মিডফিল্ডার), রাফিনিয়া (মিডফিল্ডার), ভিনিসিয়াস (ফরোয়ার্ড), সাভিনহো (ফরোয়ার্ড), রদ্রিগো (ফরোয়ার্ড)।
আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: মার্টিনেজ (গোলরক্ষক), মলিনা (ডিফেন্ডার), ওতামেন্ডি (ডিফেন্ডার), রোমেরো (ডিফেন্ডার), ত্যাগলিয়াফিকো (ডিফেন্ডার), ডি পল (মিডফিল্ডার), এনজো ফার্নান্দেজ (মিডফিল্ডার), ম্যাক অ্যালিস্টার (মিডফিল্ডার), গিওভান্নি সিমিওনে (ফরোয়ার্ড), আলমাদা (ফরোয়ার্ড), আলভারেজ (ফরোয়ার্ড)।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন হ ল য় ন আলভ র জ ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট ন র ফর য় র ড
এছাড়াও পড়ুন:
ঘর ঠান্ডায় ইনডোর প্লান্ট
গরমকালে আমাদের ঘর যেন একেকটা ওভেনে পরিণত হয়। ফ্যান চালিয়ে উপকার মেলে না। এসি বা কুলারের ওপর নির্ভর করতে হয় দিনের বেশির ভাগ সময়। ভাবুন তো, যদি এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় থাকে, যা ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে– তাও কোনো বিদ্যুৎ বা মেশিন ছাড়াই?
হ্যাঁ, প্রকৃতির কাছে আছে এমন কিছু দারুণ সমাধান। কিছু ইনডোর প্লান্ট আছে, যেগুলো শুধু ঘরের শোভা বাড়ায় না, বরং তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে, বাতাস পরিষ্কার করে আর আপনার মন-মেজাজও ঠান্ডা রাখে।
কেন ইনডোর প্লান্ট ঘর ঠান্ডা রাখে?
গাছ বা পাতার মাধ্যমে পানি ছাড়ে, যাকে বলে বাষ্পমোচন (ট্রান্সপিরেশন)। এই জলীয় বাষ্প বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরের গরম তাপ শোষণ করে। ফলে ঘর একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে। বড় পাতার গাছগুলো আবার সূর্যের আলো আটকে দেয়। ফলে সরাসরি রোদ ঘরে ঢুকে গরম করতে পারে না। শুধু তাই নয়, কয়েকটা গাছ একসঙ্গে রাখলে ঘরের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার একটা প্রাকৃতিক ভারসাম্য তৈরি করে।
কোন গাছগুলো ইনডোরে লাগানো সবচেয়ে ভালো?
ঘর ঠান্ডা রাখতে পারে এমন অনেক ইনডোর গাছ আছে। আজ আমরা এমন কিছু গাছ নিয়ে বলব, যেগুলো বাংলাদেশে সহজে পাওয়া যায় এবং সহজে ঘরে রাখা যায়।
স্নেক প্লান্ট
অল্প আলো আর কম পানিতে দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এ গাছ। যারা ব্যস্ত জীবনে নিয়মিত গাছের খেয়াল রাখতে পারেন না, তাদের জন্য আদর্শ। বিশেষ করে রাতেও অক্সিজেন ছাড়ে বলে শোবার ঘরে রাখার জন্য দারুণ। এ ছাড়া বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান যেমন ফরমালডিহাইড শোষণ করে।
পিস লিলি
নরম পাতার এ গাছটি ঘরে ঠান্ডা ভাব আনে বাষ্পমোচনের মাধ্যমে। এর সাদা ফুল ঘরে এনে দেয় প্রশান্তি ও সৌন্দর্যের ছোঁয়া। বাতাস পরিষ্কারে কার্যকর এবং ঘরের ভেতরের বাতাসকে আর্দ্র রাখে, যা গরমে খুব উপকারী।
আরবিকা পাম
সবুজ পাতায় ঘেরা এ গাছ শুধু চোখে শান্তি দেয় না, বাতাসে আর্দ্রতাও বাড়ায়। হালকা বাতাসে পাতাগুলো দুলে যেন প্রকৃতির স্পর্শ এনে দেয়। এটি বিভিন্ন টক্সিন শোষণ করে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখে এবং সহজে মানিয়ে যায় ঘরের কোনায় বা জানালার পাশে।
স্পাইডার প্লান্ট
এই গাছ দ্রুত বড় হয়, তাপ শোষণ করে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। একে মা গাছ বলা হয়। কারণ, এর শরীর থেকে ছোট ছোট চারা জন্ম নেয়, যেগুলো আবার নতুন করে লাগানো যায়। খুব বেশি যত্ন ছাড়া বেড়ে ওঠে এবং ঘরের বাতাসে থাকা কার্বন মনোঅক্সাইড ও ফরমালডিহাইড দূর করে।
অ্যালোভেরা
ঔষধি গাছ হিসেবে বেশি পরিচিত হলেও, অ্যালোভেরা ইনডোর ঠান্ডা রাখতে দারুণ কাজে দেয়। পাতার ভেতরের জেল আমাদের ত্বকের যত্নে যেমন ব্যবহার হয়, তেমনি পাতাগুলো গরম তাপ শুষে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
রাবার প্লান্ট
বড় আকারের মোটা পাতায় সূর্যের আলো আটকে দিতে পারে এ গাছ। তাই রোদ থেকে আসা অতিরিক্ত উত্তাপ কিছুটা কমে যায়। পাশাপাশি ঘরের ভেতর দারুণ এক সবুজ পরিবেশ তৈরি করে। কম আলো ও মাঝারি পানির চাহিদা থাকায় এর যত্ন নেওয়া সহজ।
জেড প্লান্ট
ছোট আকৃতির এ গাছটি টেবিল বা জানালার ধারে রাখলে জায়গা কম লাগে অথচ সৌন্দর্য বাড়ে অনেকগুণ। খুব কম পানি লাগে এবং পরিবেশে হালকা ঠান্ডা ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ইনডোর গাছের যত্নের কিছু সহজ টিপস
আলো বুঝে গাছ রাখুন: যেসব গাছ রোদ পছন্দ করে (যেমন অ্যালোভেরা, আরবিকা পাম) সেগুলো দক্ষিণ দিকে রাখুন। কম আলো সহ্য করতে পারে এমন গাছ (যেমন স্নেক প্লান্ট, স্পাইডার প্লান্ট) উত্তরমুখী স্থানে রাখাই ভালো।
পানি দিন বুঝেশুনে: সব গাছে প্রতিদিন পানি দেওয়ার দরকার নেই। মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিন। অতিরিক্ত পানি দিলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে।
মাটি ও সার: জৈব সার ব্যবহার করলে গাছ ভালো বেড়ে ওঠে। বছরে ২-৩ বার সার দিতে পারেন।
পাতা পরিষ্কার রাখুন: পাতায় ধুলো জমে গেলে গাছ ঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারে না। তাই মাঝে মধ্যে নরম কাপড় দিয়ে পাতাগুলো মুছে দিন। v