ক্যারিয়ার নিয়ে আফসোসের শেষ নেই অভিনেতা ফারুক আহমেদের। এর কারণ, মঞ্চে তাঁর যেভাবে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেখানে থেকে একদমই আলাদা চরিত্রে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। যে কারণে মঞ্চের বাইরে কমেডি নাটকের চরিত্রের কারণে তিনি দর্শকদের কাছে একভাবে পরিচিত। আড়ালেই থেকে গেছে তাঁর শৈল্পিক আরেক সত্তা।

ফারুক আহমেদ আফসোস করে বললেন, ‘নাটকে আমি একধরনের চরিত্র দিয়ে পরিচিতি পেয়েছি। পরে পরিচালকেরা আমাকে একই চরিত্রের জন্য ডেকেছেন। আমাকে ভিন্নভাবে কেউ আবিষ্কারের চেষ্টা করেননি। সিরিয়াস কাজে আমার ওপর আস্থা রাখতে পারেননি। এটা একজন অভিনেতার জন্য কষ্টের কারণ।’

অথচ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে শুধু কমেডি নিয়ে অভিনয়ের কোনো ইচ্ছাই ফারুক আহমেদের ছিল না। তখন বৈচিত্র্যপূর্ণ সব চরিত্রে নাম লিখিয়েছেন। এই অভিনেতা বলেন, ‘এখনো আলোচিত মঞ্চনাটকের মধ্যে “কেরামত মঙ্গল”, “যৈবতী কন্যার মন”সহ একাধিক নাটকের কথা প্রথম দিকে আসে। সেসব মঞ্চনাটকে আমি গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছি। “কেরামত মঙ্গল” নাটকে কেরামত চরিত্রে অভিনয় করেছি। পরে হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছি। সেটাও আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। হুমায়ূন ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অনেকেই যে আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেননি, সেটা খারাপ লেগেছে।’

অভিনেতা ফারুক আহমেদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

সাক্ষাৎকারের ২৫ মিনিট আগে আসায় চাকরি হলো না প্রার্থীর

সময়ানুবর্তিতাকে ভালো গুণ হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ করে চাকরির সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক সময় এই গুণ হিতে বিপরীত হতে পারে। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

ওই পোস্টে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক বলেছেন, একজন চাকরিপ্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ের আগে সাক্ষাৎকার দিতে আসায় তাঁকে বাদ দিয়েছেন।

ওই ব্যক্তির নাম ম্যাথু প্রিওয়েট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা রাজ্যে একটি পরিচ্ছন্নতা প্রতিষ্ঠানের মালিক। ঘটনাটি তিনি নিজেই লিংকডইনে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, অফিসের প্রশাসক পদের জন্য একজন চাকরিপ্রার্থী সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট আগে উপস্থিত হয়েছেন। ওই প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

পোস্টটি আলোচিত হওয়া শুরু করলে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রিওয়েট। তিনি বলেন, যদিও চাকরির সাক্ষাৎকারে একটু আগে পৌঁছানো প্রশংসনীয় কাজ। তবে সময়ের অনেক আগে পৌঁছানো দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনা বা সামাজিক সচেতনতার অভাবকে ইঙ্গিত দিতে পারে।

প্রিওয়েট ব্যাখ্যা করে বলেন, তাঁর অফিসটি ছোট। ওই প্রার্থী আগেভাগে আসায় তাঁকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। কারণ, তিনি ব্যবসাসংক্রান্ত ফোনকল শুনে ফেলতে পারেন।

প্রিওয়েট জোর দিয়ে বলেন, সাক্ষাৎকারের শিষ্টাচার অনুযায়ী সাধারণত প্রার্থীরা ৫ থেকে ১৫ মিনিট আগে পৌঁছাতে পারেন। তবে এর বেশি হলে তাঁকে অবিবেচক মনে হতে পারে।

ওই ব্যবসায়ীর পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেকেই পক্ষে–বিপক্ষে মতামত দেন। কেউ কেউ তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তবে অনেকে প্রার্থীর পক্ষও নিয়েছেন।

পোস্টের নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কাজটি ঠিক হয়নি। কী হাস্যকর মূল্যায়ন! তাঁকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি তাঁকে এখনি চাকরি দেব।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘যদি তাঁর একমাত্র পরিবহন বাস হয়ে থাকে, অথবা আসার সময়ের ওপর তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থেকে থাকে? তাহলে তিনি দেরি না করার জন্য যা করার ছিল, তাই করতেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ