???? বাংলাদেশ ০-০ ভারত ????
বিরতির সময় দুই দল ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় ক্যামেরা খুঁজল তাঁদের দুজনকে—হামজা চৌধুরী আর সুনীল ছেত্রী। ছেত্রীর ঠিক পেছনেই দেখা যাচ্ছিল হামজাকে।
একসঙ্গে দুজনকে দেখে দর্শকেরা অভিনন্দন জানালেন। মাঠে দুজনই চেষ্টা করেছেন নিজ দলকে যতটা সম্ভব উজ্জীবিত রাখতে। কিন্তু গোল পায়নি কোনো দলই। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটা যেমন শেষ হলো গোলশূন্য, হামজা-ছেত্রী দ্বৈরথও থেকে গেল অমীমাংসিত।
আট মাস পর অবসর থেকে ফেরা ভারতের ছেত্রী বাংলাদেশের পোস্টে একটিমাত্র শট নিয়েছেন প্রধমার্ধে। নিজের উপস্থিতি ঠিক সেভাবে বোঝাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কিছু নয়। ৮৫ মিনিটে তো তাঁকে তুলেই নেন ভারত কোচ। ছেত্রী পারেননি দলকে জেতাতে।
এ রকম একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র-জনতার ওপর হামলা: মৃত্যুর আড়াই মাস পর আসামি বীর মুক্তিযোদ্ধা
মৃত্যুর আড়াই মাস পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় আসামি হলেন রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান। রোববার (২৩ মার্চ) রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় ৫৮ নম্বর আসামি তিনি। মামলাটির বাদী জামায়াত ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী আব্দুল আলীম দুলাল (২২)। তিনি রাজপাড়া থানার মোল্লাপাড়া মহল্লার মুশারফ হোসেনের ছেলে।
মামলাটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে। মামলার দুই নম্বর আসামি হলেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশার ছেলে রুয়েট কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান দীপন। মামলায় রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দীনসহ ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আবদুল মান্নান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। আবদুল মান্নান অসুস্থ হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন রাজশাহীর টিকাপাড়া গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে আব্দুল আলীম দুলালের মোবাইল ফোনে কল করা হলে মামলার বাদীর ভাই জামায়াত কর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আব্দুল আলীম আলুপট্টি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। আর তার ভাই আব্দুল আলীম বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সমর্থক। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় তার ভাই আলীম গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সংগঠনের তদারকিতে মামলা করা হয়েছে। আমাদের মুরুব্বিরা সবকিছু করেছেন। কোনো বিষয়ে কথা বলার থাকলে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, মামলা সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে পরে জানানো সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আসামির তালিকায় মৃত ব্যক্তি আছেন কি- না তা জানা নেই। তদন্ত করে আসামিরা ঘটনায় যুক্ত কিনা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।