“দেশে ভালো চিকিৎসা নেই, ভারত ছাড়া উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়। বিগত সময়ে এমন মানসিকতা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, “দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার কাঠামোগত উন্নয়ন, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং চিকিৎসকদের আন্তরিকতা বৃদ্ধি করা হলে বাংলাদেশেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে রোগিরা আসবে।”

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, “শিশু-কিশোরদের রক্ত পান করেও শেখ হাসিনার রক্ত তৃষ্ণা না মেটায় নেতাকর্মীদের প্রতিশোধ নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা এখনও হিংসা ও প্রতিশোধ পরায়নতায় ভুগছেন।”

ড্যাব রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা.

মাহমুদুল হক সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম, ইফতার কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. জাভেদ আখতারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/আমিরুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান বিচারপতি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বুধবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা।

এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

এরপর সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ