রাজধানীতে হামিম গ্রুপের জিএম আহসান উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার
Published: 25th, March 2025 GMT
দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর রাজধানীর তুরাগের দিয়াবাড়ী থেকে হামিম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসান উল্লাহর (৪৮) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে দিয়াবাড়ীর ১৬ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি জানিয়েছেন তুরাগ থানার ওসি মোহাম্মদ রাহাৎ খান। তিনি জানান, রোববার (২৩ মার্চ) বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় সোমবার পরিবারের পক্ষ থেকে তুরাগ থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। আজ দুপুরে খবর আসে দিয়াবাড়ীতে রাস্তার পাশে একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়, খোঁজ নিয়ে ও সুরতহাল কালে পরিবারের তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মরদেহটি নিখোঁজ থাকা আহসান উল্লাহর।
আরো পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত
শপিংমলগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: র্যাব
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত আহসান উল্লাহ তুরাগের চন্ডালভোগ এলাকার মৃত মজিদ আহমেদের ছেলে। তিনি রাজধানীর তুরাগ এলাকাতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
ঢাকা/মাকসুদ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান বিচারপতি
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা।
এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
এরপর সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।