কক্সবাজার উপকূলের অদূরে গভীর সমুদ্রে ১০ দিন ধরে ভাসতে থাকা বিকল একটি ফিশিং ট্রলারের ২২ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। উদ্ধারকৃত সকলেই লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

সিয়াম-উল-হক জানান, সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সংবাদ পাওয়া যায়, কক্সবাজার উপকূলের এলিফ্যান্ট পয়েন্ট থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ফিশিং ট্রলার ‘এফবি রাইসা-১’ ইঞ্জিন বিকল হয়ে উত্তাল সমুদ্রে ভাসছে। এরপর কোস্ট গার্ডের একটি জাহাজ উদ্ধার অভিযানে নামে। টানা ২৫ ঘণ্টার অভিযানে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফিশিং ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত জেলেদের কক্সবাজার বিসিজি স্টেশন সাগরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ করা হয়। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করা হয়। 

আরো পড়ুন:

মেঘনায় ট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৪

ছয় ট্রলার ও জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ফিশিং ট্রলারটি গত ১১ মার্চ নোয়াখালী উপকূল থেকে মাছ ধরতে সাগরে যায় এবং ১৪ মার্চ থেকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকে। পরে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়ার পর জেলেরা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান বিচারপতি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বুধবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা।

এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

এরপর সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ