সাগরে ভাসতে থাকা ২২ জেলেসহ ফিশিং ট্রলার উদ্ধার
Published: 25th, March 2025 GMT
কক্সবাজার উপকূলের অদূরে গভীর সমুদ্রে ১০ দিন ধরে ভাসতে থাকা বিকল একটি ফিশিং ট্রলারের ২২ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। উদ্ধারকৃত সকলেই লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
সিয়াম-উল-হক জানান, সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সংবাদ পাওয়া যায়, কক্সবাজার উপকূলের এলিফ্যান্ট পয়েন্ট থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ফিশিং ট্রলার ‘এফবি রাইসা-১’ ইঞ্জিন বিকল হয়ে উত্তাল সমুদ্রে ভাসছে। এরপর কোস্ট গার্ডের একটি জাহাজ উদ্ধার অভিযানে নামে। টানা ২৫ ঘণ্টার অভিযানে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফিশিং ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত জেলেদের কক্সবাজার বিসিজি স্টেশন সাগরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ করা হয়। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করা হয়।
আরো পড়ুন:
মেঘনায় ট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৪
ছয় ট্রলার ও জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ফিশিং ট্রলারটি গত ১১ মার্চ নোয়াখালী উপকূল থেকে মাছ ধরতে সাগরে যায় এবং ১৪ মার্চ থেকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকে। পরে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়ার পর জেলেরা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১১ আসামিকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বিস্ফোরকসহ হত্যাচেষ্টা আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন– প্রেমনন্দন দাস বুজা, রণব দাস, বিধান দাস, বিকাশ দাস, নর্মিত দাস, রাজ কাপুর, সামির দাস, শিব কুমার দাস, ওম দাস, অজয় দাস ও দেবী চরণ। এ মামলার বাদী নিহত আলিফের ভাই খানে আলম। গত ২৬ জানুয়ারি তারা গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর এপিপি মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিন ঘণ্টা তাঁকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তাঁর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময়ের সংঘাতের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই একটি মামলা করেন।