‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিতে’ ২০২৭ পর্যন্ত দায়িত্বে সিম
Published: 25th, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাকে এবার দুই বছরের জন্য আবারো নিয়োগ দিলো বিসিবি। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ থাকবেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর নিশ্চিত করেছে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে ফারুক আহমেদের বোর্ড বরখাস্ত করার পর ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের আগস্টে তাকে দায়িত্ব দেয় বিসিবি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের তালিকায় সিমন্সকে না রাখলেও কাছাকাছি রাখতে হয়। খেলোয়াড়ি জীবনে বেশ সমৃদ্ধ ছিল তার ক্যারিয়ার। ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতেন সিমন্স। নব্বই দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালী সময়ের খেলোয়াড়দের অন্যতম সিমন্স। আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের সাবেক কোচ সিমন্স। এখন কাজ করছেন পাকিস্তান সুপার লিগে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরপরই বিসিবি জানিয়েছিল, সিমন্সকে নিয়ে তারা ইতিবাচক। পুনরায় কোচ হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। দুই পক্ষের আলোচনা ও চুক্তি শেষে বিসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে কোচ হিসেবে সিমন্সের নাম ঘোষনা করেছে।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালের পথেই তামিমের ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’, যা জানা গেল
বাংলাদেশের কোচ-অধিনায়ক চূড়ান্ত হবে সোমবার
পুনরায় বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সিমন্স, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে দীর্ঘমেয়াদীভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই দলের মধ্যে প্রতিভা অফুরন্ত এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের একসাথে দুর্দান্ত কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সামনের যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’’
‘‘ইতিমধ্যেই কিছু ব্যতিক্রমী খেলোয়াড়ের সাথে কাজ করার পর, আমি এই দলে প্রচুর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। তাদের দক্ষতা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে। একসাথে, আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি এবং সত্যিই বিশেষ কিছু তৈরি করতে পারি।’’
‘‘গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ দলের সাথে আমার সময় অবিশ্বাস্যভাবে ফলপ্রসূ হয়েছে। এই দলের মধ্যে শক্তি, প্রতিশ্রুতি এবং ক্ষমতা চিত্তাকর্ষক। আমি এই খেলোয়াড়দের তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মন স ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
সারাদেশে আজ ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের
সারাদেশে আজ শনিবার ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ। দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে আজ। একযোগে বেলা ১১টা ৩০ মিনিট থেকে শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সড়কের দুই পাশে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করবেন।
সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার সারাদেশে কাফনের কাপড় পরে ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ এবং চট্টগ্রামে কফিন মিছিল হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে বিক্ষোভ করেছেন তারা। আজ ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালনের কথা জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কাফন মিছিল বের করেন। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকের পরনে ও মাথায় ছিল কাফনের কাপড় বাঁধা। মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানের মধ্যে ছিল– ‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার’, ‘এক হও এক হও, পলিটেকনিক এক হও’, ‘ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দাও’।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাসফিক ইসলাম বলেন, সচিবালয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। কিন্তু সেসবের কোনো বাস্তবায়ন নেই। বৃহস্পতিবার আমাদের কর্মসূচি শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে শিথিল করা হয়। কিন্তু বৈঠকে গিয়ে দেখি শিক্ষা উপদেষ্টাও নেই, সচিবও নেই। তাই আমরা দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ না হয়, এমন কঠোর কর্মসূচিতে যাব। বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে বৃহস্পতিবার তারা সারাদেশে ‘রেল ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণায় কর্মসূচি শিথিল করেন তারা। বৈঠকে সন্তুষ্ট না হতে পেরে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বরিশাল ব্যুরো জানায়, ছয় দাবিতে গতকাল দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কয়েক শিক্ষার্থী কাফনের কাপড় পরে সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন। দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা নগরের সরকারি হাতেম আলী কলেজসংলগ্ন চৌমাথায় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। ফলে কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলায় দূরপাল্লা রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে যান।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছয় দফা দাবিতে কফিন মিছিল করেছেন চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।