ফিল সিমন্সের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার এক বার্তায় বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার। 

ফিল সিমন্সকে গত বছরের অক্টোবরে জাতীয় দলের হেড কোচ করা হয়। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। তবে তার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে গত মাসে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি করেছিল বিসিবি।

ওই টুর্নামেন্টের পরে বিসিবি থেকে জানানো হয়, হেড কোচ ফিল সিমন্স, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে। তারই অংশ হিসেবে সিমন্সের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ঘোষণা আসল।

লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত সিমন্স, ‘লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিভার বিষয়টি অস্বীকার করা যাবে না। একসঙ্গে আমরা দারুণ কিছু অর্জন করতে পারবো এই বিশ্বাস আমাদের আছে। আমি এই যাত্রা শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’ 

সিমন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৬টি টেস্ট ও ১৪৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে ২০০৪ সালে তিনি জিম্বাবুয়ের হেড কোচের দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেছন। দায়িত্ব সামলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে তার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল স মন স স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

নাসার যে মহাকাশযান গ্রহাণুর পেছনে ছুটছে

নাসার লুসি মহাকাশযান বৃহস্পতি গ্রহের কাছাকাছি অচিহ্নিত গ্রহাণুদের ঝাঁকের দিকে যাত্রা করছে। যাত্রার সময় এই সপ্তাহে একটি ছোট গ্রহাণুর খুব কাছাকাছি দিয়ে উড়ে যাবে যানটি। ১১টি মহাজাগতিক পাথর পরিদর্শনের লক্ষ্যে ২০২১ সালে যাত্রা করে লুসি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো গ্রহাণুর কাছাকাছি যাচ্ছে লুসি। গ্রহাণুর কাছ থেকে যাওয়ার সময় বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক সৌরজগৎকে জানতে গ্রহাণুর তথ্য সংগ্রহ করবেন। এসব গ্রহাণু সুদূর অতীতে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের অংশ ছিল বলে মনে করা হয়।

২০২৭ সালে লুসি বৃহস্পতি গ্রহের কাছে ট্রোজান গ্রহাণুর এলাকায় পৌঁছাবে। মহাকাশযানটি এবারের গ্রহাণু দর্শনে তিনটি সরঞ্জামের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবে। ডোনাল্ড জোয়ানসন নামের গ্রহাণু থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। লুসির সঙ্গে গ্রহাণুর দেখা–সাক্ষাৎ পৃথিবী থেকে ১৩ কোটি ৯০ লাখ মাইল দূরে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী প্রধান গ্রহাণু বেল্টে ঘটবে।

গ্রহাণুটির ৫৯৬ মাইল কাছে যাবে যানটি। গ্রহাণুটি দৈর্ঘ্যে প্রায় আট কিলোমিটারের মতো। যদিও প্রস্থে অনেক ছোট বলে অনুমান করা হচ্ছে। মহাকাশযানটি ঘণ্টায় ৩০ হাজার মাইলের বেশি গতিতে ছুটে যাচ্ছে।

গ্রহাণুটি ১৫ কোটি বছর আগে একটি বড় সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট অগণিত খণ্ডের মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী হল লেভিসন বলেন, এই গ্রহাণু দেখতে সাধারণ কোনো আলুর মতো নয়। গ্রহাণুটি লম্বাটে হতে পারে।

গ্রহাণুর সঙ্গে লুসির সাক্ষাতের সময় লুসির সঙ্গে পৃথিবীর কোনো যোগাযোগ থাকবে না। গ্রহাণুটি ট্র্যাক করার জন্য মহাকাশযানটি তার অ্যানটেনা পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে নেবে তখন। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, গ্রহাণুর সঙ্গে দেখা হওয়ার এক দিনের মধ্যে বেশির ভাগ বৈজ্ঞানিক ডেটা পাওয়া যাবে।

লুসির পরবর্তী গন্তব্য ট্রোজান গ্রহাণু। সূর্যের চারপাশে বৃহস্পতির কক্ষপথে অবস্থান করছে। ট্রোজানদের ঝাঁক সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিকে ঘিরে রেখেছে। লুসি ২০২৭ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে আটটি গ্রহাণুকে পরিদর্শন করবে।

সূত্র: ইউএসনিউজ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাসার যে মহাকাশযান গ্রহাণুর পেছনে ছুটছে