সড়ক ভবন-স্থাপনার নতুন নামকরণ করলো দক্ষিণ সিটি
Published: 25th, March 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সড়ক অবকাঠামো, স্থাপনা, সেতু, ফ্লাইওভার, মসজিদ, পার্কের নতুন নামকরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মো. রাসেল রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে উল্লিখিত সড়ক, অবকাঠামো, স্থাপনা, সেতু, ফ্লাইওভার, মসজিদ, পার্কগুলোর পরিবর্তিত নামে নামকরণসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা হবে।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি সরণি ইনার রিং রোড নামে, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সরণি ঝাউচর প্রধান সড়ক নামে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সরণি কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল বুড়িগঙ্গা সড়ক নামে, শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক কলাবাগান শিশু পার্ক নামে, শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক যাত্রাবাড়ী শিশু পার্ক নামে, মেয়র শেখ তাপস সেতু কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ নামে, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্ক সরাফতগঞ্জ পার্ক নামে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নামে, মেয়র হানিফ অডিটোরিয়াম নগর ভবন অডিটোরিয়াম নামে, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নামে, মেয়র হানিফ জামে মসজিদ আজিমপুর কবরস্থান জামে মসজিদ নামে, মেয়র হানিফ মসজিদ সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল জামে মসজিদ নামে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম জ ক অন ষ ঠ ন ক ন দ র ফ ল ইওভ র মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলের যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবি
মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করার যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের চারুকলা অনুষদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
সোমবার ঢাবির চারুকলা অনুষদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে জাহারা নাজিফা নামে একজন বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা হবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা বাদ দেওয়ার একটি যৌক্তিক কারণ আমাদের দেখান। ১৯৮৯ সাল থেকে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে। এখানে এভাবে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছি।’ ভবিষ্যতে এ ধরনের জটিলতা এড়াতে নীতিমালা করার দাবি জানান তিনি।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে এটি আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে শুরু হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়েছিল। প্রায় ২৮ বছর পর এটি পুরনো নামে ফিরলো।
গত শুক্রবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’