রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি
Published: 25th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক অনিয়ম, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহতির পাশাপাশি পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য তাঁর পদোন্নতি ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কাছে বিভাগের পাওনাদি বিষয়ে পত্র ইস্যু করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছর তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং এই পাঁচ বছর সক্রিয় চাকরি হিসেবেও গণ্য করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্ত করতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ দাবি করেন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের কার্যালয়ে লিখিতভাবে স্নাতক পর্যায়ের ২০৯ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯২ শিক্ষার্থী তাঁর অপসারণের দাবির পক্ষে অভিযোগপত্রের সংযুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘সংযোগ’ বদলে দিয়েছে মাতৃত্বের প্রথম অভিজ্ঞতা
প্রসবোত্তর যত্ন ও পরিবার পরিকল্পনায় প্রথমবার মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতিদের সচেতন করতে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘সংযোগ’ প্রকল্প। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান।
২০১৯ সাল থেকে নোয়াখালী ও মাদারীপুর জেলার আটটি উপজেলায় পরিচালিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানো, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ কমানো এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নসহ নানা কার্যক্রম চালানো হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন মা-বাবাদের জন্য প্রি-ডিসচার্জ কাউন্সেলিং চেকলিস্ট, প্রথমবারের মায়েদের জন্য আমন্ত্রণপত্র, মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, এবং ‘জিরো হোম ডেলিভারি’ ক্যাম্পেইনের মতো কার্যকর পদক্ষেপ প্রকল্পটিকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
প্রধান অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ বলেন, “সংযোগ প্রকল্পের উদ্ভাবনী পদক্ষেপগুলোকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। কম বয়সে মাতৃত্বের ঝুঁকি কমাতে মাঠকর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি ইউনিটের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। সংযোগ আমাদের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পথ দেখিয়েছে।”
সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, “সংযোগ প্রকল্প মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যে বাস্তব পরিবর্তন এনেছে। ছোট ছোট পদক্ষেপের বড় প্রভাব আমরা দেখেছি।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং অংশীদার সংগঠন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) প্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং সহায়তায় ছিল সেভ দ্য চিলড্রেন ও রিক।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ