ঠিকাদারি কাজে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খুলনার কয়রা উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী এসএম হাবিবুল্লাহকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) খুলনার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো.

আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। 

কারাদণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করে দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের অভিযানে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় এসএম হাবিবুল্লাহ। এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম বাদী হয়ে কয়রা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক এসএম শামীম ইকবাল ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট এসএম হাবিবুল্লাহকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষের উচ্ছাসে অশুভের পরাজয় নিশ্চিত

বাংলা নববর্ষকে বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, জণগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন প্রমাণ করেছে, বাঙালি জাতির জাতিসত্ত্বাবোধ বিনস্ট করা অসম্ভব। 

রোববার জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলন মোহাম্মদপুর থানা ও স্থানীয় শিশু কিশোর সংগঠন শৈশব মেলা বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মোহাম্মদপুরস্থ বেঙ্গলি মিডিয়াম হাই স্কুলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব রুস্তম আলী খোকন।

ড. তারিকুজ্জামান সুদানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক লেখক সাংবাদিক সাইফুর রহমান তপন, খেলাঘরের উপদেষ্টা আহসান হাবিব লাভলু, পরিজা সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, শৈশব মেলা বাংলাদেশ এর সভাপতি গোলাম কিবরিয়া অপু, শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতা সৈয়দ বাবলু, নাজমুল হাসান, অনন্ত রূপ চক্রবর্তী প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে সারাদেশে উগ্রবাদী গোষ্ঠী বাঙালি সংস্কৃতির ওপর নানাভাবে আঘাত হানছে। পহেলা বৈশাখকে ধর্মের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করার পুরোনো অপচেষ্টায় এই মৌলবাদী উগ্রবাদী মহল লিপ্ত। কতক ক্ষেত্রে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততা জণগণকে বিস্মিত করছে।

তারা বলেন, বায়ান্নর চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাঙালি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনায় মৌলবাদ, দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ, অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী অপশাসনসহ সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ