মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন কুষ্টিয়ার মিঠুন
Published: 25th, March 2025 GMT
আসন্ন ঈদ উৎসব ঘিরে সারা দেশে চলছে দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’। এর আওতায় মার্সেল ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মিরপুর কুষ্টিয়ার মিঠুন আলী।
সম্প্রতি আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে মিঠুন আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের হেড অব বিজনেস মো.
আরো পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ইয়েমেনে এসি রপ্তানি করল মার্সেল
মার্সেল পণ্য কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ
জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন ও সিলিং ফ্যান কিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া পাচ্ছেন লাখ লাখ টাকার ক্যাশভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।
এই সুবিধার আওতায় চলতি মাসের ১২ তারিখে আলমডাঙ্গা শহরের রেল ব্রিজ রোডে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘মামুন এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ৩৬ হাজার ৮৯০ টাকা দিয়ে ২১৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন মিঠুন। কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর ও ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে মার্সেল থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ আসে। ঈদের আগে মাত্র একটি ফ্রিজ কিনে এতো বিশাল অঙ্কের টাকা পেয়ে তার পরিবারে বইছে খুশির বন্যা।
১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণকালে মিঠুন বলেন, “একটি ফ্রিজ কিনে এত টাকা একসঙ্গে পাবো তা কখনও কল্পনাই করিনি। মার্সেলের এই টাকায় আমার ভাগ্যের উন্নতি করার চেষ্টা করবো। ক্রেতাবান্ধব এমন মহতী উদ্যোগের জন্য মার্সেল কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
মার্সেলের হেড অব বিজনেস মো. মতিউর রহমান জানান, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। পূর্বের প্রতিটি সিজনে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিলেছে অভূতপূর্ব সাড়া। চলমান সিজনেও সারা দেশের ক্রেতাদের থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, “মার্সেল শুধু ব্যবসা করে না। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে মার্সেল। এরই অংশ হিসেবে মিঠুন আলী আজ ১০ লাখ টাকার মালিক। এই টাকা তার জীবন পুরোপুরি পরবর্তন করে দেবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ ল খ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামা খুন, ভাগনেসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজশাহীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামাকে খুনের অভিযোগে ভাগনেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব রাজশাহী ও মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের ঘোড়া চত্বর এলাকায় সুরুজ আলীকে (৪৫) মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই নিহত ব্যক্তির বাবা রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার মৃত আনিচুর রহমানের ছেলে মো. হিরো (৪০) ও আশরাফ আলী (৪৫) এবং তাঁদের মা জাহানারা বেগম (৬০)।
নিহত ব্যক্তির নাম সুরুজ আলী (৪৫)। তিনি নগরের নতুন বিলসিমলা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সুরুজ পেশায় একজন মাইক্রোবাসচালক ছিলেন।
র্যাব জানিয়েছে, নিহত সুরুজ আলীর সঙ্গে আসামিদের জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুরুজসহ চারজন অটোরিকশায় লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে নতুন বিলসিমলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ঘোড়া চত্বর এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা তাঁদের পথ রোধ করেন। সেখানে জমি নিয়ে কথা–কাটাকাটি ও বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফ আলীর নির্দেশে হিরো ইট দিয়ে সুরুজের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা তাঁর বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারেন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।
পরে আহত সুরুজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে র্যাব রাজশাহী সিপিসি-১-এর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার পর মামলা হলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের রাজপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।