ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাদক ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ইয়াবা উদ্ধার এবং তাঁর ভাইকে আটকের খবরে মিষ্টি বিতরণ করেছিল এলাকাবাসী। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর মিষ্টি বিতরণকারীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বোয়ালমারী সদরের সোতাশী মমিন মার্কেট এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। পরে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই সড়কে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এসব কর্মসূচিতে কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশ নেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন, পৌর যুবদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মোল্লা, কবি কাজী নজরুল কলেজ ছাত্রদল নেতা শামীম বিন ইসমাইল, বোয়ালমারী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি জুবায়ের হোসেন ও হামলায় আহত পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

তানভীর হাসান চৌধুরী ও বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান হামলাকারীদের বিচারের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রামের বাসিন্দা একাধিক মাদক মামলার আসামি মতি কাজী (৫০) দীর্ঘদিন ধরে সোতাশী এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। মতি কাজী বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক রাজা মিয়ার নেতৃত্বে অভিযানে সাবেক ইউপি সদস্য মতি কাজীর বসতঘর থেকে ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের সময় মতি কাজী ভাই ইসলাম কাজীকে (৪০) আটক করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেন। তবে ইসলাম কাজীর কাছে কোনো মাদকদ্রব্য না পাওয়ায় তল্লাশি শেষে তাঁকে ছেড়ে দেয়। এরপর গতকাল রাত ৯টার দিকে মিষ্টি বিতরণকারীদের বাড়িঘরে মতি কাজীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। হামলায় সোতাশি গ্রামের বাবর মণ্ডল (২৮) ও মো. মুজাহিদ শেখ (২৩) আহত হন। তাঁদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

গতকাল রাতেই জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক রাজা মিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মতি কাজীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। রাজা মিয়া বলেন, অভিযানের সময় সাবেক ইউপি সদস্য মতি কাজীর ঘর থেকে ৫০০ ইয়াবা জব্দ করা হয়। মাদকসহ মতি কাজীর ভাই ইসলাম কাজীকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর (ইসলাম কাজীকে) কাছে কোনো কিছু পাওয়া না যাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ি ঘরে হামলা করে আহতের ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম ক জ এল ক ব স সদস য ব যবস অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মাদক ব্যবসায়ীর ভাই আটকের আটকের খবরে মিষ্টি বিতরণকারীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাদক ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ইয়াবা উদ্ধার এবং তাঁর ভাইকে আটকের খবরে মিষ্টি বিতরণ করেছিল এলাকাবাসী। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর মিষ্টি বিতরণকারীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বোয়ালমারী সদরের সোতাশী মমিন মার্কেট এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। পরে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই সড়কে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এসব কর্মসূচিতে কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশ নেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন, পৌর যুবদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মোল্লা, কবি কাজী নজরুল কলেজ ছাত্রদল নেতা শামীম বিন ইসমাইল, বোয়ালমারী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি জুবায়ের হোসেন ও হামলায় আহত পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী ও বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান হামলাকারীদের বিচারের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রামের বাসিন্দা একাধিক মাদক মামলার আসামি মতি কাজী (৫০) দীর্ঘদিন ধরে সোতাশী এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। মতি কাজী বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক রাজা মিয়ার নেতৃত্বে অভিযানে সাবেক ইউপি সদস্য মতি কাজীর বসতঘর থেকে ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের সময় মতি কাজী ভাই ইসলাম কাজীকে (৪০) আটক করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেন। তবে ইসলাম কাজীর কাছে কোনো মাদকদ্রব্য না পাওয়ায় তল্লাশি শেষে তাঁকে ছেড়ে দেয়। এরপর গতকাল রাত ৯টার দিকে মিষ্টি বিতরণকারীদের বাড়িঘরে মতি কাজীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। হামলায় সোতাশি গ্রামের বাবর মণ্ডল (২৮) ও মো. মুজাহিদ শেখ (২৩) আহত হন। তাঁদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

গতকাল রাতেই জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক রাজা মিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মতি কাজীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। রাজা মিয়া বলেন, অভিযানের সময় সাবেক ইউপি সদস্য মতি কাজীর ঘর থেকে ৫০০ ইয়াবা জব্দ করা হয়। মাদকসহ মতি কাজীর ভাই ইসলাম কাজীকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর (ইসলাম কাজীকে) কাছে কোনো কিছু পাওয়া না যাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ি ঘরে হামলা করে আহতের ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ