বন্দরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
Published: 25th, March 2025 GMT
ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিনিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বন্দর খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাছিরা বেগমের বিরুদ্ধে । গণমাধ্যমের কাছে এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি কথা জানিয়েছে অনুমোদিত ডিলার সহ রয়েছে একাধিক ভুক্তভোগী ।
সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, প্রকাশ্যে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ না করলেও অনুমোদিত একজন ডিলার জানান, কয়েক বছর ধরে আইন বহির্ভূত ভাবে প্রতিটা ডিলারের কাছ থেকে প্রত্যেক ডিউ লেটার থেকে ১ হাজার টাকা, অফিসের সহকারীদের নামে আদায় করা হয় ২ শত টাকা।
গত ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা দেশ ছাড়ার পর অনুমোদিত ডিলারগন অতিরিক্ত ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় নানা ভাবে হয়রানী সহ প্রকাশ্যে দেন হুমকি দমকি। টিএসএফ এর বরাদ্দকৃত হতদরিদ্রের চালের ডিউ নিতে বিলম্বে হলেই নানা অজুহাতে আত্মসাৎ করা হচ্ছে চাল। এ বিষয়ে কোনো ডিলার প্রতিবাদ করলে ডিলার সিপ বাতিলের হুমকি দেন এই নারী কর্মকর্তা।
ধামগড় ইউনিয়ন এলাকায় একজন ডিলারকে নোটিশ না দিয়ে ডিলার সিপ বাতিল করে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে জজ মিয়া ও হালিম নামে দুই ব্যাক্তিকে ডিলার সিপ বুঝিয়ে দেন।
আরো একজনকে ঘুষ বাণিজ্য একমত প্রকাশ না করায় তার জামানত বাতিলের হুমকি, হাবিবুর নামে এক ডিলার সিপ বাতিল করে কামরুজ্জামান নামে এক ব্যাক্তির নামে ডিলার সিপ প্রদান করে নাসিরা আক্তার । চলতি মাসে হতদরিদ্র নামে বরাদ্দকৃত চাল মাষ্টার রুলের বাহিরে নাসিরা আক্তার ছাত্র জনতার নামে বেআইনী ভাবে ২৬ বস্তা চাল আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাসিরা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ২৫-২৬ অর্থ বছরে লাইসেন্স নবায়ন না করার দাবিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত আবেদন করেন অনুমোদিত ডিলারগন।
এছাড়াও অনৈতিক সুবিধা ভোগে যারা রয়েছে নাসিরা আক্তারের অফিস স্টাফ, কাজের বুয়া, আত্মীয়স্বজন ও সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা ও হতদরিদ্রের মধ্যে মৃত ব্যাক্তিদের চাল নিজস্ব ক্ষমতা বলে আত্মসাৎ করেন নাসিরা আক্তার।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাসিরা আক্তারের বাসভবনের গৃহপরিচারিকা আসমা আক্তার জানান, আমি আগে কাজ করতাম। নাসিরা ম্যাডাম হতদরিদ্রের চালের কার্ড করে দিয়েছেন। আমার গ্রামের বাড়ি বরগুনা।
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নাসিরা আক্তার জানান, এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আপনি আগামী ২৭ মার্চ আসেন কথা বলবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো।
.উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল সভাপতি হওয়ার পর ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি
নুর ইসলামকে সভাপতি ও রীমন আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে এই কমিটি ঘোষণার পরপরই সভাপতি পদ পাওয়া নুর ইসলামের কিছু পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা এসব ছবি নিয়ে সংগঠনের ভেতরে সমালোচনা চলছে।
নুর ইসলাম ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন কলেজ ছাত্রদলের একটি পক্ষ। তিনি কলেজের একটি হলে ‘ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাও’ ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁদের। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বলছে, নূর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আসছেন।
রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রামেক ছাত্রদলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। সভাপতি পদ পাওয়া নুর ইসলাম ২০২৩ সালে এমবিবিএস শেষ করেছেন।
জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটি দেওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে নূরের ছবিগুলো আমরাও পেয়েছি। রাতেই আমরা দেখেছি। এখন তার কলেজের অধ্যক্ষ এবং একজন স্বাচিপ নেত্রী-তাদের সঙ্গে তো ছবি তুলতেই পারে। কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে যায়নি; বরং ওই ফ্যাসিস্টের আমলে সে আমাদের দলে কর্মসূচিতেই দীর্ঘদিন থেকে আছে।’
দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে নূর ইসলাম (ডানে)