অত্যন্ত সংবেদনশীল সামরিক পরিকল্পনা ভুল করে একটি ম্যাসেজিং গ্রুপে সম্প্রচারের ঘটনা গুরুতর নয় বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ভুল করে একটি ম্যাসেজিং গ্রুপে ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এই গ্রুপে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ তার ডেপুটি অ্যালেক্স ওয়াংকে হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ সমন্বয় করতে ‘টাইগার টিম’ তৈরি করার কাজ দেন। ওই গ্রুপটিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম আটলান্টিকের প্রধান সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গকে ভুল করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সোমবার আটলান্টিক এ নিয়ে একটি বর্ণনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ  করার পর হোয়াইট হাউজ ঘটনা স্বীকার করে।

ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে টেলিফোনে বলেছেন, “দুই মাসের মধ্যে একমাত্র ত্রুটি ছিল এবং এটি গুরুতর ছিল না।”

 তিনি তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের পক্ষ নিয়ে বলেন, “ওয়াল্টজ একটি শিক্ষা পেয়েছেন।”

তবে প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য সমালোচকদের শান্ত করার সম্ভাবনা কম। কারণ তারা এই ফাঁসকে জাতীয় নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির এক শিক্ষকে অব্যাহতি, অন্যজনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতি থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পাঁচ বছর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি পদোন্নতি ও বেতনের বার্ষিক প্রণোদনা স্থগিত করা হয়েছে। শাস্তি চলাকালে তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনের আচরণের নৈতিক স্খলন হিসেবে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম এবং ড. সুজন সেন মনোনীত একজন প্রতিনিধি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ