মুন্সীগঞ্জ শহরে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীকে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ নৈশ প্রহরী আবুল হোসেনকে (৫৫) উদ্ধার করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে শহরের কোর্টগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে এবং অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যেতে বাধা দেয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা হাসপাতালে অবস্থান নিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোর্টগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতর ৮ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে নৈশপ্রহরী।

পরে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ে ছুটে যায়। সেখানে শ্রেণিকক্ষের ভেতর নৈশ প্রহরীকে আটকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নৈশ প্রহরীকে উদ্ধার করে।

ছাত্রীর বড় ভাই জানান, ২৬ মার্চের উপলক্ষ্যে কুচকাওয়াজের রিহার্সেল করার জন্য তার বোন সোমবার সকালে স্কুলে যায়। ওই সময় নৈশ প্রহরী তাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সেসময় পালিয়ে বাড়িতে ফিরে সে ঘটনা খুলে বলে।

মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হুমায়ুন কবীর জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আটকে রেখে নৈশ প্রহরীকে মারধর করার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে ছুটে যায়। এসসয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

তিনি বলেন, “এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ প রহর ক

এছাড়াও পড়ুন:

নাগরদোলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অভিযুক্ত স্বামী আ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় লাকী বেগম (২০) নামে একজন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নাগরদোলায় উঠিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে।  
 
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাফেজ মহিউদ্দিনের ওরসের মেলায় এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত লাকী বেগম একই উপজেলার কালাপোল এলাকার বেদে পল্লীর মনসুর আলীর মেয়ে।  আটক স্বামী মো. সাকিব সদর উপজেলার মান্নান নগর বেদে পল্লী পাড়ার মো. মঙ্গলের ছেলে।    

নিহত লাকীর মা শেফালী বেগম জানান, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে জেলার সদর উপজেলার মান্নান নগরের বেদে পাড়ার মঙ্গলের ছেলে সাকিবের সাথে লাকীর বিয়ে হয়। লাকী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত পনের দিন আগে সে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসে। রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব তার স্ত্রীকে মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে নিজের ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন ভেঙে ফেলে এবং নিজের মাথা নিজেই ফাঁটিয়ে ফেলে। 

সোমবার সন্ধ্যার পরে লাকীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিন হাফেজের ওরসের মেলায় ঘুরতে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রী এক সাথে নাগরদোলায় উঠে।  

শেফালী বেগমের অভিযোগ, নাগরদোলায় চড়াকালীন সাকিব তার মেয়ে লাকীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় লাকীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

লাকীর বাবা মনসুর আলী বলেন, “সাকিব মাদকাসক্ত ছিলো। কথায় কথায় লাকীকে নির্যাতন করতো। আমাদের ঘরে এসেও মেরেছে। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান বলেন, “অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সুজন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ