ক্রেডিট কার্ডের রিপোর্টকৃত মাসের তথ্য বিবরণী পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিটি লেনদেনের তথ্য-উপাত্ত অটোমেশন ও সঠিকতার সাথে সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ এবং কার্ড ও এর লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত অপারেশনাল ম্যানুয়ালে প্রদত্ত ডাটা টেমপ্লেট অনুযায়ী মাসিকভিত্তিতে নিয়মিতভাবে পাঠাতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে কার্ড। বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে কার্ডের ব্যবহার এবং চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বর্ধিত চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে কার্ড সংক্রান্ত তথ্য/উপাত্ত আরো বিস্তৃতভাবে সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কার্ডের লেনদেন সংক্রান্ত এই বিস্তৃত তথ্য/উপাত্ত সংগ্রহের ফলে অত্র বিভাগের বিং ডাটা সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হবে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, গবেষকগণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীদারগণ এই তথ্য/উপাত্ত ব্যবহার করে কাস্টমার স্পেন্ডিং বিহেবিয়ারাল প্যাটার্ন এনালাইসিস ইনসাইটফুল ইনফরমেশন আহরণের মাধ্যমে সময়োপযোগী বিভিন্ন ইনোভেটিভ প্রডাক্ট লাঞ্চিং এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করতে সক্ষম হবেন। এ লক্ষ্যে, দেশে কার্যরত কার্ড সেবা প্রদানকারী সকল তফসিলি ব্যাংক/নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কার্ডভিত্তিক প্রতিটি লেনদেনের তথ্য/উপাত্ত অটোমেশন ও সঠিকতার সাথে সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ এবং কার্ড ও এর লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য/উপাত্ত পোর্টালে রিপোর্ট এর সুবিধার্থে একটি অপারেশনাল ম্যানুয়াল চূড়ান্ত করা হয়েছে। (https://www.

bb.org.bd/en/index.php/about/guidelist)।

এমতাবস্থায় সংযুক্ত অপারেশনাল ম্যানুয়ালে প্রদত্ত ডাটা টেমপ্লেট অনুযায়ী কার্ড সংক্রান্ত তথ্যাদি মাসিকভিত্তিতে (রিপোর্টকৃত মাসের বিবরণী পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে) পোর্টালের মাধ্যমে (https://ereturns.bb.org.bd/ccrud/upload bigdata) নিয়মিতভাবে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ধারা ৪৫ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এবং ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নিগারদের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা কি বাড়ল

ম্যাচ শেষ হয়েছে দুটি, এখনো বাকি তিনটি। অর্ধেকের বেশি ম্যাচ বাকি থাকার অর্থ চূড়ান্ত পয়েন্ট তালিকা নিয়ে অনুমান করা কঠিন।

তবে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ দল এরই মধ্যে যা খেলেছে আর সামনে যেসব প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে, তাতে খানিকটা ঝুঁকি নিয়ে সামনের পথ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়াই যায়। নিগার সুলতানার দল পাকিস্তানে গেছে ভারতের টিকিট কাটতে।

এ বছরের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে মেয়েদের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। ৮ দলের সেই টুর্নামেন্টের ছয় দল চূড়ান্ত হয়েছে আগেই। বাকি দুটি জায়গার জন্য পাকিস্তানে বাছাইপর্ব খেলছে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ছয় দল।

বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলেছিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে, জিতেছিল রেকর্ড ১৭৮ রানে। গতকাল লাহোরে নিগাররা হারিয়েছেন আয়ারল্যান্ডকে। ২৩৫ রান তাড়ার ম্যাচে বাংলাদেশের জয়টি ২ উইকেটে। ২ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের পয়েন্ট ৪।

৪ পয়েন্ট আছে পাকিস্তান আর স্কটল্যান্ডেরও। এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২, আয়ারল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের ০। সবচেয়ে বেশি ৪ পয়েন্ট পাওয়া তিন দলের মধ্যে বাংলাদেশই এগিয়ে। রানরেট ১.৮৯৯, যা দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের ০.৫৯৪।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ দল কি বাকি তিন ম্যাচের পরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারবে? নিদেনপক্ষে দ্বিতীয় স্থান?

নিগারদের পরবর্তী তিন প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। এই তিনটি দলের মধ্যে পাকিস্তান দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে, স্কটল্যান্ড দুটি জিতেছে তিন ম্যাচের মধ্যে। আর ক্যারিবীয়দের মধ্যে দুই ম্যাচে জয় একটি।

শক্তির বিচারে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। তবে ভালো দিক হচ্ছে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ সবার শেষে (১৯ এপ্রিল)। তার আগে ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড এবং ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ম্যাচ। স্কটিশ মেয়েরা এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও থাইল্যান্ডকে হারিয়েছে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২৪৪ রানের পুঁজি নিয়ে ১১ রানের ব্যবধানে আর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৬ রানের পুঁজিতে ৫৮ রানে।

তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৬ রান করে হেরেছে ৬ উইকেটে। সব মিলিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, স্কটল্যান্ড তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডকে হারাতে পারলে শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে বাংলাদেশ আগামীকাল স্কটিশদের হারিয়ে দিতে পারলে উল্টোটা ঘটবে।

আইরিশদের বিপক্ষে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও ২৩৫ রান তাড়া করেছে বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ
  • দাবি আদায়ে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা, সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা
  • আমেরিকা-পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনীতি কে চালাবে
  • ইকুয়েডরে আবার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রক্ষণশীল দলের নোবোয়া
  • বৈশাখের আনন্দ তিনগুণ বেড়ে গেছে, কেন বললেন বুবলী
  • নিগারদের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা কি বাড়ল
  • গ্রামে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু, বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর হটস্পট বরগুনা
  • গাজা সিটির একমাত্র সচল হাসপাতালে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • গাজায় এ পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
  • ইন্টারনেটের ব্যবহার কম উৎপাদনশীল খাতে