নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নোয়াখালীর সুধারাম থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক (তথ্য ও জনসংযোগ) ইফতেখার হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোবিপ্রবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইলের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ০১৮৭৬১২২১৩৫ নম্বর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করা হচ্ছে। এ ধরনের যেকোনো আর্থিক লেনদেন থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হলো।

আরো পড়ুন:

মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর

নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ

এরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তাই এ চক্রকে যথাযথ নিয়মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করার পরামর্শ দেওয়া হলো। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

সাক্ষাৎকারের ২৫ মিনিট আগে আসায় চাকরি হলো না প্রার্থীর

সময়ানুবর্তিতাকে ভালো গুণ হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ করে চাকরির সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক সময় এই গুণ হিতে বিপরীত হতে পারে। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

ওই পোস্টে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক বলেছেন, একজন চাকরিপ্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ের আগে সাক্ষাৎকার দিতে আসায় তাঁকে বাদ দিয়েছেন।

ওই ব্যক্তির নাম ম্যাথু প্রিওয়েট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা রাজ্যে একটি পরিচ্ছন্নতা প্রতিষ্ঠানের মালিক। ঘটনাটি তিনি নিজেই লিংকডইনে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, অফিসের প্রশাসক পদের জন্য একজন চাকরিপ্রার্থী সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট আগে উপস্থিত হয়েছেন। ওই প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

পোস্টটি আলোচিত হওয়া শুরু করলে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রিওয়েট। তিনি বলেন, যদিও চাকরির সাক্ষাৎকারে একটু আগে পৌঁছানো প্রশংসনীয় কাজ। তবে সময়ের অনেক আগে পৌঁছানো দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনা বা সামাজিক সচেতনতার অভাবকে ইঙ্গিত দিতে পারে।

প্রিওয়েট ব্যাখ্যা করে বলেন, তাঁর অফিসটি ছোট। ওই প্রার্থী আগেভাগে আসায় তাঁকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। কারণ, তিনি ব্যবসাসংক্রান্ত ফোনকল শুনে ফেলতে পারেন।

প্রিওয়েট জোর দিয়ে বলেন, সাক্ষাৎকারের শিষ্টাচার অনুযায়ী সাধারণত প্রার্থীরা ৫ থেকে ১৫ মিনিট আগে পৌঁছাতে পারেন। তবে এর বেশি হলে তাঁকে অবিবেচক মনে হতে পারে।

ওই ব্যবসায়ীর পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেকেই পক্ষে–বিপক্ষে মতামত দেন। কেউ কেউ তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তবে অনেকে প্রার্থীর পক্ষও নিয়েছেন।

পোস্টের নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কাজটি ঠিক হয়নি। কী হাস্যকর মূল্যায়ন! তাঁকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি তাঁকে এখনি চাকরি দেব।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘যদি তাঁর একমাত্র পরিবহন বাস হয়ে থাকে, অথবা আসার সময়ের ওপর তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থেকে থাকে? তাহলে তিনি দেরি না করার জন্য যা করার ছিল, তাই করতেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ