বলিউডে দেশাত্মবোধক সিনেমা হলেই ডাক পড়ে অক্ষয় কুমারের। ‘মিশন মঙ্গল’, ‘কেশরী’ ‘স্কাই ফোর্স’, ‘এয়ারলিফ্ট’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে শুরু করে ফিল্মি কেরিয়ারে এমন অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এবার সেই তালিকায় সংযোজন ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ জালিয়ানওয়ালাবাগ’। 

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড অবলম্বনে সিনেমা তৈরির কথা বছর চারেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রযোজক করণ জোহর। সেসময় জানা গিয়েছিল ‘কেশরী’ ছবির সিকুয়েলে ব্রিটিশদের নির্মম অত্যাচারের কাহিনি ফুটে উঠবে।

সোমবার সিনেমার টিজার প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথম ঝলকেই আইনজীবীর ভূমিকায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রগরগে সংলাপে নজর কাড়লেন অক্ষয় কুমার।

১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ঝলকে প্রথম ৩০ সেকেন্ড কোনওরকম ভিস্যুয়াল নেই। শুধুই আর্তনাদ, বাঁচার করুণ আর্তি আর কয়েক রাউন্ড গোলাগুলোর আওয়াজ! তারপর সব স্তব্ধ। এরপরই গুরুদ্বারে সি শংকরণ নায়ারের ভূমিকায় অক্ষয় কুমারকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। পরের দৃশ্যেই তিনি ডাকসাইটে আইনজীবী। কালো পোশাকে কোর্টরুমে ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে ‘অশ্রাব্য’ অথচ ‘যথাযোগ্য ভাষায়’ প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। পয়লা ঝলকেই ডাকাবুকো বডি ল্যাঙ্গুয়েজে দেশপ্রেম উসকে দিলেন অক্ষয় কুমার।

আগামী ১৮ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ জালিয়ানওয়ালাবাগ’। যে ছবিতে খিলাড়ির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে আর মাধবন এবং অনন্যা পাণ্ডেকে। যৌথ প্রযোজনায় করণ জোহরের ধর্মা প্রডোকশনস এবং কেপ অফ গুড ফিল্মস।

ভারতীয় ইতিহাসে এখনও দগদগে ঘায়ের মতো জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড। ১৯১৯ সালের এপ্রিল মাসে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষদের উপর গুলি চালায় ব্রিটিশ সৈনিকরা। জালিয়ানওয়ালাবাগ মাটি ভিজেছিল ভারতীয়দের রক্তের স্রোতে। প্রতিবাদের তীব্র আগুন সঞ্চারিত হয় সারা দেশে। সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইংরেজ সরকারের দেওয়া ‘নাইটহুড’ উপাধি ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গণহত্যার বিচারের দাবিতে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মুখোমুখি হয়েছিলেন সি শংকরণ নায়ার। সেই প্রেক্ষাপটেই তৈরি হয়েছে ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল য় নওয় ল ব গ

এছাড়াও পড়ুন:

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত দুই বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দুই বিচারপতিকে শপথবাক্য পড়ান।

দুই বিচারপতি হলেন—বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এই দুই বিচারপতির শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল সাত।

শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। গতকাল সোমবার এই নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগ শপথগ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। ফলে আজ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই বিচারপতির নিয়োগ কার্যকর হলো।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান

১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব

১৯৬৬ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এক বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব চতুর্থ নারী বিচারপতি, যিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল ও নিয়োগ

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ অনুসারে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে সুপারিশের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল নামে একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে বলা হয়। আর কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি। অধ্যাদেশ অনুসারে নির্ধারিতসংখ্যক সদস্যের সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হয় ও কাউন্সিলের সভা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে গতকাল জানানো হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দুই বিচারপতিকে (বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব) আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল হচ্ছে
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে সোলাইমান সেলিমসহ দুই জন
  • ভুয়া আসামি দাঁড় করিয়ে জামিন, ৪ আসামি কারাগারে 
  • ডাকাত–আতঙ্কে ঝালকাঠি পৌরসভায় মাইকিং, মব তৈরি করে শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ
  • শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতি
  • ঢাকা আইনজীবী সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • জিয়া পরিবারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ: জয়নুল আবেদীন
  • শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
  • বাসসের এমডি মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা