মাদ্রাসার শিক্ষক–কর্মচারীদের এমপিওর অনলাইন আবেদনের সময় দুই দিন বৃদ্ধি
Published: 25th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় মাদ্রাসার শিক্ষক–কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের এমপিওর অনলাইন আবেদনের সময় দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১ থেকে ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এই আবেদন পাঠাবেন। আর উপজেলা–থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ১ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সেলে এই আবেদন পাঠাতে হবে। এমন নির্দেশনা দিয়ে গতকাল সোমবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সব মাদ্রাসাপ্রধান ও সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব লুক্সেমবার্গের বৃত্তি, স্নাতক–স্নাতকোত্তরে প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস১০ ঘণ্টা আগেওই আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (মাদ্রাসা) শিক্ষক–কর্মচারীদের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার–২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত–পরিমার্জিত) আলোকে প্রতি মাসের ৪ তারিখের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সংশ্লিষ্ট উপজেলা–থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে দাখিল করেন এবং প্রতি মাসের ৮ তারিখের মধ্যে উপজেলা–থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সেলে পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এপ্রিল মাসের অনলাইন আবেদন ১ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সংশ্লিষ্ট উপজেলা–থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এবং ১ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে উপজেলা–থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সেলে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হলো।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৯৪ শতাংশই ফেল৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত উপজ ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের অমর কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন সাঁই, মুঘল সম্রাট আকবর, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথসহ অন্তত ৩৮ জন বিখ্যাত মনীষীর। তবে তারা আসল নয়, ডামি। ডামি হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটেছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চেহারা ও অবয়ব। তাদের দেখে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।
এছাড়াও শোভাযাত্রায় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের সচিত্র দেখা গেছে।
সোমবার সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাগে ৯টায় কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, গোলচত্বর, উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে দই চিড়া খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর ১২৫ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী নেন এবং শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীদের দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।
কলেজ ছাত্র শুভ মোল্লা বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন। বন্ধুরা মিলে খুবই আনন্দ করছি।
সুবর্ণা খাতুন নামের এক শিশু জানায়, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে নৃত্য করেছি। দই চিড়া খেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।
প্রায় ১৮ ধরে বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। যতদিন বাঁচি, এ চরিত্রেই থাকতে চাই।
আধুনিকতার বাইরে এসে যেন বাংলা সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারি। সেজন্য সম্রাট আকবরের ডামি সেজেছিলাম। কথাগুলো বলছিলেন চয়ন শেখ।
পরিচয় জানতেই 'বল বীর, বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!' কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে থাকেন পান্টি এলাকার মিলন হোসেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ডামি ছিলেন।
নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, কাঙাল, বাঘা যতীনসহ ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ এর গণ অভ্যর্থান, প্যালেস্টাইনের চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাস বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। তা দেখে মুগ্ধ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ডামি ছাড়াও চিড়া দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।