সেতুর দুই গার্ডারের মাঝের ফাঁকে আটকে পড়া শিশু উদ্ধার
Published: 25th, March 2025 GMT
সেতুর দুই গার্ডারের মাঝের ফাঁকা স্থানে বাসা বেঁধেছে কবুতর। সে কবুতর ধরতে দুই গার্ডারের মধ্যে ঢোকে ৯ বছরের শিশু নূর মোহাম্মদ। কিন্তু বিপত্তি বাধে বের হওয়ার সময়। শিশুটি আর বের হতে পারছিল না। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধার হওয়া নূর মোহাম্মদ নওগাঁ পৌরসভার কাঁঠালতলী এলাকার রিপন হোসেনের ছেলে। উদ্ধারের পর শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। সে পৌরসভার উপশেরপুর এলাকায় তার নানাবাড়িতে আছে।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, শিশু নূর মোহাম্মদ কয়েক দিন আগে পৌরসভার উপশেরপুর এলাকায় নানাবাড়িতে বেড়াতে যায়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নূর মোহাম্মদ অন্য শিশুদের সঙ্গে নানাবাড়ির পাশে সুলতানপুর সেতুতে বাসা বাঁধা কবুতর ধরতে যায়। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুই শিশু ছিল। কবুতর ধরার জন্য নূর মোহাম্মদ সেতুর উত্তর রেলিংয়ের (সীমানাদেয়াল) পাশে দুই গার্ডারের মধ্যে প্রবেশ করে। কিন্তু এরপর সে আর বের হতে পারছিল না। বিপদ বুঝতে পেরে নূর মোহাম্মদকে উদ্ধারের জন্য তার সঙ্গে থাকা অন্য শিশুরা তার নানাবাড়িতে খবর দেয়। ঘটনাটি জানার পর শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে শিশু নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের কার্যক্রম দেখতে সুলতানপুর সেতুর ওপর ও নদীর দুই তীরে শত শত মানুষ জড়ো হন।
নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গার্ডার সেতুতে দুই গার্ডারের মধ্যে ফাঁকা রাখা হয়। আর গার্ডারের নিচে স্প্রিং থাকে। সেতুর ওপর ভারী যানবাহন উঠলে ওই স্প্রিং লোড নেয়। এ সময় দুই গার্ডারের মধ্যের অংশ নড়াচড়া করে। দুই গার্ডারের মধ্যে ফাঁকা না রাখলে সেতুর গার্ডার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। প্রযুক্তিগত কারণে দুই গার্ডারের মধ্যে ফাঁকা রাখাই লাগবে। কিন্তু মানুষ ঢুকতে পারে, এত বড় ফাঁকা থাকার কথা নয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ম হ ম মদ প রসভ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বানোয়াট বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কিত ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের তথ্য নাকচ করে বলেছে, সংবাদমাধ্যমটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার আইএসপিআরের এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে এসেছে যে ইন্ডিয়া টুডে আবারও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠিত একটি নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
এতে বলা হয়েছে, আজ (২৫ মার্চ ২০২৫) প্রকাশিত ‘প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জরুরি বৈঠক করেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি অপসাংবাদিকতার চর্চা এবং একসময়ের খ্যাতিমান সংবাদমাধ্যমটির বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে পতিত হওয়ার একটি উজ্জ্বল নজির।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র বা যাচাইযোগ্য প্রমাণবিহীন এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। এতে উপস্থাপিত তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ‘আসন্ন অভ্যুত্থান’ সম্পর্কিত দাবি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘ইন্ডিয়া টুডে’ বারবার দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
আইএসপিআরের প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ইন্ডিয়া টুডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ‘২০২৫ সালের ১১ মার্চ আমরা এক প্রতিবাদলিপিতে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ও তথ্যগতভাবে ভুল প্রতিবেদনের বিষয় উন্মোচন ও খণ্ডন করেছি।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদকীয় নীতির ব্যাপারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়, যা সত্য প্রচারের পরিবর্তে চাঞ্চল্য সৃষ্টির দিকে ধাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সেবায় এবং গণতন্ত্র ও শান্তি রক্ষার নীতি সমুন্নত রাখার জন্য তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা করতে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ ও অবিশ্বাস তৈরি করে এমন ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’