জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংক্ষিপ্ত নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শাহরিয়ার খান আবির ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শাহরিয়ার খান আবিরে সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির সংক্ষিপ্ত নাম নিয়ে বহু আলোচনা চলছে। সে কারণে বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, সদ্য প্রতিষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির সংক্ষিপ্ত নাম হওয়া উচিত যেএনপি, কিন্তু দেওয়া হয়েছে এনসিপি যেটি সঠিক নয়। কারণ নাম (বিশেষ্য) যে ভাষায় লেখা হোক না কেন এর কোনো পরিবর্তন হয় না। 

আরো পড়ুন:

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে: নাহিদ ইসলাম

আগামীর বাংলাদেশে মার্কা দেখে কেউ ভোট দেবে না: সারজিস

এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নব গঠিত একটি রাজনৈতিক দল যা আগামীর বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস রাখি। ইতোমধ্যে এই তরুণ তুর্কিরা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এমতা অবস্থায় যদি একটি দলের নামে অসংগতি থাকে তাহলে তা হবে দুঃখের ব্যাপার। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থানের নামের ভাষাগত দিক থেকে কোনো পরিবর্তন হয় না তাই সে যে ভাষায় লেখা হোক না কেন!। এ কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (Jatio Nagorik Party) সংক্ষিপ্ত নাম হওয়া উচিত ‘যেএনপি’ এবং এটি সঠিক! রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময় বিষয়টি অতীব গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য সবিনয় আবেদন জানাচ্ছি। 

উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের সময় রাজনৈতিক দলের সংক্ষিপ্ত নাম যাতে সঠিক হয় তার ব্যবস্থা করতে মর্জি হয়।

ঢাকা/সুকান্ত/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে আগুন জ্বালালেন রাফিনিয়া

মারাকানায় মারামারির সেই স্মৃতি এখনো দগদগে। আহত হয়েছিলেন অনেকেই। জরিমানাও হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। ব্রাজিলের পুলিশ নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করেছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর। ঝড়েছিল রক্তও।

আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া সেই ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরা গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে মারামারির বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন সমর্থকদের। থামতে থামতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। গ্যালারির রেলিং ধরে নিরীহ সমর্থকদের অনিশ্চিত চাহনির অদৃশ্য কালিতে একটা বিষয় পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল।

ফুটবলের যে লড়াই জিভে জল আনার, যে লড়াইয়ে নাকি শুধু রোমাঞ্চই থাকে, খুব আশা নিয়ে সেটা তাঁরা দেখতে এসে এ কী দেখলেন! লাঠিপেটা, চেয়ার ছুড়ে মারা, চিৎকার ও রক্তপাত!

আরও পড়ুনগোল করে আর্জেন্টিনাকে হারানোর ঘোষণা রাফিনিয়ার১৬ ঘণ্টা আগে

ফিফা সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল। আর যেন এমন কিছু না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

কিন্তু লড়াই যখন ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার এবং তা–ও ফুটবলের ময়দানে, তখন হাজারো শান্তির কথা বলার পরও একটু ঝুঁকি থাকেই। হাজারো ব্যবস্থা নেওয়ার পরও নিরাপত্তা আসলে নিশ্চিত নয়। কারণ, অনুভূতিটাই আগুনে—আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল! যে দলের মাঠে খেলা, সেই দলের সমর্থকেরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য একটু আয়োজন তো রাখবেনই!

বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তালেও আজ নিশ্চয় এমন কিছু এন্তেজাম করা আছে। অন্তত আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সেই প্রস্তুতি অবশ্যই নেওয়া আছেই। কারণ, মারাকানার সর্বশেষ স্মৃতি—ব্রাজিলিয়ান পুলিশের লাঠিপেটা, ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের চেয়ার ছুড়ে মারা। হিসাব–কিতাব তো সমান হয়নি।

আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ম্যাচে ১০০০ পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি ট্রাফিক এজেন্ট, সরকারি এজেন্সির কর্মকর্তা ও ক্যাডেট পুলিশ কর্মকর্তারাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ৮০ হাজার আসনের এ স্টেডিয়ামে সমর্থকেরা তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা পার হয়ে তারপর যেতে পারবেন গ্যালারিতে।

ব্রাজিলের সমর্থকেরা ঢুকবেন আলাদা গেট দিয়ে। অর্থাৎ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের গ্যালারিতে ঢোকার পথেই যেন মারামারি লেগে না যায়, সেই ভাবনা থেকে হয়তো এমন ব্যবস্থা। কিন্তু সমর্থকেরা মনের ভেতর তুষের আগুন নিয়ে ঢুকলে, সেটি ধরা পড়বে কোন তল্লাশিতে?

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ কবে জিতেছিল ব্রাজিল ১৭ ঘণ্টা আগে

মারাকানায় মার খাওয়ার সেই তুষের আগুন তো এখনো ধিকিধিকি জ্বলছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বুকে। প্রয়োজন ছিল একটু উসকে দেওয়ার। রাফিনিয়া ঠিক সেই কাজই করেছেন। রোমারিওর সঙ্গে ‘রোমারিও টিভি’ পডকাস্টে বলেছেন, ‘আমরা ওদের গুঁড়িয়ে দেব। কোনো সন্দেহ নেই। একদম গুঁড়িয়ে দেব মাঠের ভেতরে, দরকার পড়লে মাঠের বাইরেও।’

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন রাফিনিয়া। ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও আছেন—এমন গুঞ্জন–ফিসফাসও আছে। এ মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে গোলও করেছেন। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে বার্সার হয়ে ৪২ ম্যাচে ২৭ গোলের পাশাপাশি ২০ গোল করিয়েছেন। ব্রাজিলের হয়ে ৫ ম্যাচে গোল ৪টি, করিয়েছেন ১টি। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৩১ গোল, বানিয়েছেন ২১টি। অর্থাৎ এ মৌসুমে গোল করা ও গোল করানো মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচে ৫২ গোলে অবদান রাফিনিয়ার।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন রাফিনিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ