তরুণ অলরাউন্ডারে বড় জয় লিজেন্ডস রূপগঞ্জের

আরও একটি বড় জয় পেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৭২ রানে তারা হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। রান তাড়া করতে নেমে ৪২.২ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগার্স।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বাঁহাতি স্পিনার সামিউন বাশির, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৮৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন জাকের আলী। ওপেনার তানজিদ হাসান ৫৯ বলে ৬১ ও সামিউন ব্যাট হাতে ৩৪ বলে করেন ৪০ রান।

রান তাড়ায় নামা টাইগার্সের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৭৭ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ করেছেন আবদুল মজিদ। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ম্যাচে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনসহ ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন সামিউন। গত বছর এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

৮ ম্যাচে চতুর্থ জয় পাওয়া রূপগঞ্জ পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে আছে। সমান ম্যাচ খেলে ১ জয় পাওয়া রূপগঞ্জ টাইগার্স আছে ১১তম স্থানে।

এনামুলের সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপের জয়

এবারের প্রিমিয়ার লিগে আজ নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন এনামুল হক বিজয়। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সব ক্রিকেট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক এই ওপেনারের তিন অঙ্কের ইনিংস এখন ৪৯টি। তাঁর দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা গুলশান ক্লাবের উদ্বোধনী জুটি ৩৯ রানে ভাঙলে উইকেটে আসেন লিটন দাস। আজিজুল হাকিমের সঙ্গে ১১৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৭৬ বলে ৫৩ রান করে আজিজুলের আউটে ভাঙে সে জুটি।

লিটন ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ৬২ বলে ৭ ছক্কা ও ৫ চারে ৮৩ রান করে লিয়ন ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে থামেন তিনি। পুরো ৫০ ওভার খেলে গুলশান করে ২৮১ রান।

রান তাড়ায় নেমে গাজী গ্রুপের অধিনায়ক এনামুল ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ১১ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে ১৪২ বলে ১৪৪ রান করেন তিনি। ৪০ বলে ৪৫ রান করেন সাদিকুর রহমান। ১০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গাজী গ্রুপ।

৮ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে গাজী গ্রুপ, ৮ ম্যাচে ৪ জয়ে সাতে গুলশান।

পারটেক্সকে হারাল ব্রাদার্স ইউনিয়ন

রোমাঞ্চকর আগের ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়েছিল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। তবে আজ বিকেএসপিতে তারা ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে হেরে গেছে ২৯ রানে।

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। রান তাড়ায় ৪৮.

১ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স।

ব্রাদার্সের পক্ষে ৫১ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন জাহিদুজ্জামান। ৪৬ বলে ৪২ রান আসে সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে। দুই উইকেট করে নেন পারটেক্সের মোহর শেখ, তানভীর হোসেন ও জাওয়াদ রোয়েন।

সুবিধা করতে পারেননি পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরাও। ৮৯ বলে ৫৬ রান করেন আহরার আমিন। শেষদিকে লড়াই চালিয়ে যাওয়া আলাউদ্দিন বাবু ৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। ব্রাদার্সের হয়ে ১০ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান জায়েদ উল্লাহ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ র ব য ট করত র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

তামিমকে মিরাজদের জয় উপহার

তামিমের মোহামেডানের জয়ের নায়ক মিরাজ

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে পেয়েছিলেন তামিম। এরপর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয় মোহামেডান অধিনায়ককে। অধিনায়ক ছাড়াই ফিল্ডিং করে শাইনপুকুরকে ২২৩ রানে অলআউট করে মোহামেডান। ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে রানটা ৪৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় মোহামেডান। অষ্টম ম্যাচে মোহামেডানের এটি ষষ্ঠ জয়। দলটি আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।

রনি তালুকদারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৬৪ রান যোগ করেন মিরাজ। এই রানের ১০৩-ই করেছেন মিরাজ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি, ঢাকা লিগে প্রথম। ৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রান করা মিরাজই আউট হয়েছেন সবার আগে। রনি ফেরেন দলকে ১৭৪ রানে রেখে ব্যক্তিগত ৬১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাহিদুল, সাইফউদ্দিন ও নাসুমরা বাকি কাজটা সারেন।

এর আগে ১০৭ রানেই শাইনপুকুরের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল মোহামেডান। এরপর শরীফুল ইসলামকে (৫৭) নিয়ে শাইনপুকুর অধিনায়ক রাইয়ান রাফসান (৭৭) ৭৭ রানের জুটি গড়েন। মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

পারভেজের সেঞ্চুরি, আবাহনীর সপ্তম জয়

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব করে ৯ উইকেটে ২০১ রান। রানটা ১০.৪ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী। দলটির ওপেনার পারভেজ হোসেন ১৩৩ বলে ১২৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৩টি চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। পারভেজ ছাড়া আবাহনীর হয়ে ফিফটি পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন (৫৪)। ধানমন্ডির অফ স্পিনার এনামুল হক ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এর আগে ধানমন্ডির হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন ফজলে রাব্বি। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান ৫৭ রান করেছেন। আবাহনী ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ৪৫ রানে নেন ৪ উইকেট।

সাব্বির-ইরফানের সেঞ্চুরি, প্রাইম ব্যাংকের পঞ্চম জয়

ওপেনার সাব্বির হোসেন (১২১ বলে ১০২) ও অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের (৯৪ বলে অপরাজিত ১০৭) সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২১ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন শাহাদাত হোসেন।

রান তাড়ায় অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১১৫ বলে ১১৬) সেঞ্চুরি পেলেও ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে ৩৪ রানে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও আরাফাত সানি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অভিষেকে রাতুলের ফাইফার, বিজয়ের সেঞ্চুরিতে লিটনদের হার 
  • ডিপিএলে পাঁচ সেঞ্চুরির দিন, এক ম্যাচেই তিন 
  • তামিমকে মিরাজদের জয় উপহার