আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ।

তিনি বলেন, “জাতি হিসেবে আমাদের কাছে আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এ জাতির ওপর যাতে আর কোন কালো রাতের পুনরাবৃত্তি  না ঘটে  সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে উচ্চ আসনে প্রতিষ্টা করার এখনি সময়। সেক্ষেত্রে ১২ লাখ প্রবাসীকে এক একজন অ্যাম্বাসিডর হয়ে দেশের পক্ষে কাজ করতে হবে। এদেশের আইন-কানুন মেনে চলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে।”

রাষ্ট্রদূত বলেন, “সকল ভয়ভীতি পরিহার করে দূতাবাস এবং প্রবাসীদের মধ্যে অদৃশ্যের দেওয়াল ভেঙে দেশের জন্য এক সাথে কাজ করতে হবে।”

শ্রম কাউন্সেলর লুৎফুন নাহার নাজীমের উপস্থাপনায় প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন  কাউন্সেলর (শ্রম)  মুহাম্মদ উল্লাহ খান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) তৌহিদ ঈমাম।

এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম তালুকদার, দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান শাহনাজ আক্তার রানু, বাংলাদেশ বিমানের রিজনাল   ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, আবুধাবি শেখ জায়েদ বাংলাদেশ স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল গণি প্রমুখ।

আলোচকরা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে ঢাকাসহ সারাদেশে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞে জাতি আজও শোকাহত।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস পালনের নির্দেশ

আজ (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস এবং আগামীকাল বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবস দুটি যথাযথভাবে পালনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।

জাতীয় কর্মসূচির আলোকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫ মার্চ গণহত্যা ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্ত বা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গণহত্য ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ সুবিধাজনক সময়েও এই কর্মসূচি পালন করতে পারবে।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান করতে হবে।

জাতীয় পর্যায়ে রচনা ও আবৃত্তি করা হবে। জাতীয় কর্মসূচির আলোকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযথভাবে পালনের ব্যবস্থা নেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  •  সোনারগাঁয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ-আলোচনা
  • ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে ঘরে বসে থাকব না: ইশরাক
  • চব্বিশ হচ্ছে স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রাম: এবি পার্টির চেয়ারম্যান
  • একাত্তরের অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রাম চব্বিশ: মঞ্জু
  • তারা কি ফিরিবে আর...
  • মালদ্বীপে গণহত্যা দিবস পালিত
  • গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই: রংপুরে রুহুল কবির রিজভী
  • আজ গণহত্যার বিভীষিকাময় কালরাত
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস পালনের নির্দেশ