বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়ল ৩৪ কেজি ওজনের ভোল মাছ। মাছটি সাড়ে তিন লাখ টাকায় কিনে নেন পাথরঘাটার পাইকারি ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে দেশের বৃহত্তর পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আলম মিয়ার আড়তে মাছটি বিক্রি হয়।  

রবিবার (২৩ মার্চ) পাথরঘাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানাধীন এফবি সাইফ-২ ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।  

আরো পড়ুন:

২৮ কেজির কাতল ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি

সাগরে মাছ নেই, জেলে পরিবারে ঈদের আনন্দ ম্লান

এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি জামাল জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ট্রলারে বাজার সদাই করে ১৫ জন জেলে নিয়ে মাছ শিকারের জন্য সাগরে যান। সাগরে গিয়ে প্রথমে দু-তিন দিন জাল ফেললে দু-একটি ছোট ও মাঝারি আকৃতির বিভিন্ন মাছ পেলেও বড় মাছের দেখা মেলেনি। রবিবার (২৩ মার্চ) পুনরায় সাগরে জাল ফেললে ৩৪ কেজি ওজনের ভোল মাছটি ধরা পড়ে।

আড়তদার আলম মিয়া জানান, ট্রলারটি ৫ দিন সাগরে অবস্থান করার পর আজ মঙ্গলবার (২৫ মাচ) পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে আসে। এখানে আসার পর মাছ বিক্রি জন্য তার আড়তে উঠায়। সেখানে ৩৪ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ ছিল। খোলা ডাকে হানিফ মিয়া ৩৪ কেজি ওজনের ভোল মাছটি সাড়ে তিন লাখ টাকায় কিনে নেন।

হানিফ মিয়া জানান, চট্টগ্রামে এই মাছের চাহিদা বেশি। তাই কিনেছেন। তিনি সেখানে নিয়ে মাছটি বিক্রি করবেন।  

পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ভোল মাছ বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। যার কারণে এ মাছের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। আর বিদেশে এ মাছের উপকরণ দিয়ে সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরি করা হয়। এই মাছের চাহিদা ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে রয়েছে।
 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প থরঘ ট ৩৪ ক জ ওজন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে কৃষকের জন্য বরাদ্দ সার বিক্রির চেষ্টা

ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দ করা সরকারি সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যানচালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।

সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল।

স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইউনুস নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন। তিনি মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার কিনতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারি সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার। 

এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কিনা। কারণ, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গোডাউন দেখে বলতে পারব। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। তারা সারগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ