জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হচ্ছে। ইফতারের পর এয়ার এম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হবে বলে জানা গেছে। 

তামিমের পরিবার তাকে ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরেকটু ভালো সুযোগ-সুবিধা পেতে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। এর আগে মোহামেডানের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে জানানো হয়, সন্ধ্যার পর তামিমকে ঢাকায় আনা হতে পারে।  

সোমবার ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে বিকেএসপিতে গিয়েছিলেন তামিম। সেখানে হার্ট অ্যাটাক হয় তার। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় নিকটস্থ কেপিজে হাসপাতালে। সেখান দ্রুত তার হার্টে রিং পরানো হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতকালই তামিমের জ্ঞান ফিরেছিল এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। 

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে কেপিজে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, তামিম ভালো আছেন। দ্রুত উন্নতি করছেন এবং তার শঙ্কা কেটে গেছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তামিমকে অন্য কোথায় স্থানান্তর না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি তারা পরিবারের হাতে ছেড়ে দেন। 

পরিবার তামিমকে ঢাকা আনার ইচ্ছের কথা জানালে কেপিজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেল বোর্ড বসান। বোর্ডের সিদ্ধান্তে জানানো হয়, হাসপাতাল পরিবর্তন করলে এই মুহূর্তে খুব একটা ঝুঁকি নেই। জানা গেছে, তামিম নিজেও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপরই তার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বানোয়াট বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কিত ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের তথ্য নাকচ করে বলেছে, সংবাদমাধ্যমটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার আইএসপিআরের এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে এসেছে যে ইন্ডিয়া টুডে আবারও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠিত একটি নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’

এতে বলা হয়েছে, আজ (২৫ মার্চ ২০২৫) প্রকাশিত ‘প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জরুরি বৈঠক করেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি অপসাংবাদিকতার চর্চা এবং একসময়ের খ্যাতিমান সংবাদমাধ্যমটির বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে পতিত হওয়ার একটি উজ্জ্বল নজির।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র বা যাচাইযোগ্য প্রমাণবিহীন এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। এতে উপস্থাপিত তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ‘আসন্ন অভ্যুত্থান’ সম্পর্কিত দাবি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘ইন্ডিয়া টুডে’ বারবার দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।

আইএসপিআরের প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ইন্ডিয়া টুডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ‘২০২৫ সালের ১১ মার্চ আমরা এক প্রতিবাদলিপিতে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ও তথ্যগতভাবে ভুল প্রতিবেদনের বিষয় উন্মোচন ও খণ্ডন করেছি।’

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদকীয় নীতির ব্যাপারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়, যা সত্য প্রচারের পরিবর্তে চাঞ্চল্য সৃষ্টির দিকে ধাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সেবায় এবং গণতন্ত্র ও শান্তি রক্ষার নীতি সমুন্নত রাখার জন্য তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা করতে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ ও অবিশ্বাস তৈরি করে এমন ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ