দর্শক চাহিদা বিবেচনায়  মাল্টিপেক্স সিনেমা হলগুলো সম্প্রসারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদে ঢাকায় চালু হতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সের আরো একটি শাখা। এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ‘সেন্টার পয়েন্ট শপিং মলে’ নতুন এই শাখা নির্মিত হয়েছে। দর্শকদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে আসন্ন ঈদের দিন এটি চালু হবে বলে বলে জানিয়েছে সিনেপ্লেক্স কতৃপক্ষ। ওই দিন থেকেই দর্শকরা এখানে সিনেমা দেখতে পারবেন। 

এয়ারপোর্টের আশেপাশের এলাকা এবং উত্তরার দর্শকদের ঈদ বিনোদনে বাড়তি আনন্দ যোগ করবে এই মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল। এমনটা জানিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই এলাকার দর্শকদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা ছিলো এটি। অনেক দর্শক আমাদেরকে সরাসরি এবং অনলাইনে দাবি জানিয়ে আসছিলেন উত্তরা এলাকায় একটি শাখা চালু করার জন্য। অবশেষে সেই দাবি পূরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ 

জানা গেছে, এই মাল্টিপ্লেক্সে চারটি হল থাকবে। যার মধ্যে একটি ভিআইপি হল, একটি রয়্যাল হল এবং দু’টি প্রিমিয়াম হল রয়েছে। আসনসংখ্যা যথাক্রমে ৮৩, ৪৮, ১৭৫ ও ৩৩১টি।

বরাবরের মত নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্বলিত সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের সিনেমা হলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে হলগুলো নির্মিত হয়েছে।
নতুন এই শাখা স্থানীয় দর্শক, বিশেষ করে উত্তরার দর্শকদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে। মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশব্যাপী অনেকগুলো সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলাম আমরা। ধারাবাহিকভাবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রসারে এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

আমাদের রাজধানী ঢাকায় প্রচুর দর্শক রয়েছেন। যানজটসহ নানা কারণে দুর দূরান্তের দর্শকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। উত্তরা, টঙ্গী, সাভার, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার দর্শকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে উত্তরার কাছাকাছি বড় পরিসরে এই শাখা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’

উল্লেখ্য, বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং রুচিসম্মত পরিবেশের কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স। যার ফলে দিনে দিনে এর পরিধি বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, সীমান্ত সম্ভার, এসকেএস টাওয়ার, সামরিক জাদুঘর এবং মিরপুর সনি স্কয়াওে স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখা রয়েছে।

দর্শকদের সুবিধার্থে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শাখা চালু করা হচ্ছে। ঢাকার বাইরে নারায়নগঞ্জ, বগুড়া ও চট্টগ্রামে নতুন শাখার কাজ চলছে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আরো শাখা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে আগুন জ্বালালেন রাফিনিয়া

মারাকানায় মারামারির সেই স্মৃতি এখনো দগদগে। আহত হয়েছিলেন অনেকেই। জরিমানাও হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। ব্রাজিলের পুলিশ নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করেছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর। ঝড়েছিল রক্তও।

আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া সেই ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরা গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে মারামারির বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন সমর্থকদের। থামতে থামতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। গ্যালারির রেলিং ধরে নিরীহ সমর্থকদের অনিশ্চিত চাহনির অদৃশ্য কালিতে একটা বিষয় পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল।

ফুটবলের যে লড়াই জিভে জল আনার, যে লড়াইয়ে নাকি শুধু রোমাঞ্চই থাকে, খুব আশা নিয়ে সেটা তাঁরা দেখতে এসে এ কী দেখলেন! লাঠিপেটা, চেয়ার ছুড়ে মারা, চিৎকার ও রক্তপাত!

আরও পড়ুনগোল করে আর্জেন্টিনাকে হারানোর ঘোষণা রাফিনিয়ার১৬ ঘণ্টা আগে

ফিফা সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল। আর যেন এমন কিছু না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

কিন্তু লড়াই যখন ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার এবং তা–ও ফুটবলের ময়দানে, তখন হাজারো শান্তির কথা বলার পরও একটু ঝুঁকি থাকেই। হাজারো ব্যবস্থা নেওয়ার পরও নিরাপত্তা আসলে নিশ্চিত নয়। কারণ, অনুভূতিটাই আগুনে—আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল! যে দলের মাঠে খেলা, সেই দলের সমর্থকেরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য একটু আয়োজন তো রাখবেনই!

বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তালেও আজ নিশ্চয় এমন কিছু এন্তেজাম করা আছে। অন্তত আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সেই প্রস্তুতি অবশ্যই নেওয়া আছেই। কারণ, মারাকানার সর্বশেষ স্মৃতি—ব্রাজিলিয়ান পুলিশের লাঠিপেটা, ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের চেয়ার ছুড়ে মারা। হিসাব–কিতাব তো সমান হয়নি।

আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ম্যাচে ১০০০ পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি ট্রাফিক এজেন্ট, সরকারি এজেন্সির কর্মকর্তা ও ক্যাডেট পুলিশ কর্মকর্তারাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ৮০ হাজার আসনের এ স্টেডিয়ামে সমর্থকেরা তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা পার হয়ে তারপর যেতে পারবেন গ্যালারিতে।

ব্রাজিলের সমর্থকেরা ঢুকবেন আলাদা গেট দিয়ে। অর্থাৎ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের গ্যালারিতে ঢোকার পথেই যেন মারামারি লেগে না যায়, সেই ভাবনা থেকে হয়তো এমন ব্যবস্থা। কিন্তু সমর্থকেরা মনের ভেতর তুষের আগুন নিয়ে ঢুকলে, সেটি ধরা পড়বে কোন তল্লাশিতে?

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ কবে জিতেছিল ব্রাজিল ১৭ ঘণ্টা আগে

মারাকানায় মার খাওয়ার সেই তুষের আগুন তো এখনো ধিকিধিকি জ্বলছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বুকে। প্রয়োজন ছিল একটু উসকে দেওয়ার। রাফিনিয়া ঠিক সেই কাজই করেছেন। রোমারিওর সঙ্গে ‘রোমারিও টিভি’ পডকাস্টে বলেছেন, ‘আমরা ওদের গুঁড়িয়ে দেব। কোনো সন্দেহ নেই। একদম গুঁড়িয়ে দেব মাঠের ভেতরে, দরকার পড়লে মাঠের বাইরেও।’

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন রাফিনিয়া। ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও আছেন—এমন গুঞ্জন–ফিসফাসও আছে। এ মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে গোলও করেছেন। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে বার্সার হয়ে ৪২ ম্যাচে ২৭ গোলের পাশাপাশি ২০ গোল করিয়েছেন। ব্রাজিলের হয়ে ৫ ম্যাচে গোল ৪টি, করিয়েছেন ১টি। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৩১ গোল, বানিয়েছেন ২১টি। অর্থাৎ এ মৌসুমে গোল করা ও গোল করানো মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচে ৫২ গোলে অবদান রাফিনিয়ার।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন রাফিনিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ