ভান্ডারিয়ায় এক ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, আরেক ভাইয়ের পা বিচ্ছিন্ন
Published: 25th, March 2025 GMT
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জমি ও বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে আবু সালেহ (৩৭) একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু সালেহ (৩৭) পাতলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। আবু সালেহ এর ছোট ভাই আবুল বাশার রুবেল (২৭) এর একটি পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম নামের একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
নিহত আবু সালেহ এর বোন আফসানা মিমি জানান, রাত আড়াইটার দিকে আমার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম সুমন, রুম্মান তাদের সহযোগী মো.
নিহত আবু সালেহ’র স্ত্রী লাবনী আক্তার জানান, আমরা ঘরে ঘুমিয়েছিলাম, রাতে আমার দেবর রুবেলের চিৎকার শুনে আমার স্বামী আবু সালেহ ও আমি ঘরে থেকে বের হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি সুমন ও আরো লোকজন রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রাখে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমাদের সামনে পেয়ে আমার স্বামী আবু সালেহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার পায়েও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ঘরে প্রবেশ করে। আলমারি ভেঙে সম্প্রতি সুপারি বিক্রির ১ লাখ টাকা ও দুই ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। পথেই মারা যান আমার স্বামী। মো. আবুল বাশার রুবেলকে মুমূর্ষু অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার জানান, জায়গা জমি ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমরা রাতেই তাদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পথে আবু সালেহ মারা যায়। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী রেক্সোনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। বাকী অপরাধীদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য ম ড ক ল কল জ হ স বর শ ল এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ইজিবাইক চালককে হত্যা, আটক ১
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইসহাক মিঝি (৪৫) নামে এক ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার (২৩ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকার রেল লাইনের পাশের সড়কে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ইসহাক মিঝি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের আয়ুব আলীর ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর কাস্টমের মোড় এলাকায় রেজাউলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি শফিক নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় কবিরাজকে ‘কুপিয়ে’ হত্যা
পাবনায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে পলাতক
আটক ব্যক্তির নাম সোহরাব হাওলাদার (৪০)। তিনি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি থানার বাহেরচর গ্রামের মৃত আতাহার হাওলাদারের ছেলে। ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোর ৪টার দিকে এক নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখতে পান, এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। ৩-৪ জন ব্যক্তি ঘটনাস্থল ত্যাগের চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে একজনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। বাকিরা পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, “নিহতের ভাগ্নে শরিফ মরদেহ শনাক্ত করেছেন। নিহতের পকেট থেকে নগদ ৮ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইজিবাইকটির মালিক শফিকও যানটি শনাক্ত করেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় এলাকাবাসী একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ