তেলবাহী জাহাজের কর্মচারীদের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘মাস্তুল’। নিজের গল্প ও চিত্রনাট্যে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ‘আম কাঁঠালের ছুটি’খ্যাত পরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে এটি পেয়েছে ‘ইউ রেট’। যে-কোনো বয়সি দর্শকের দেখার যোগ্য ‘মাস্তুল’। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ‘মাস্তুল’-এর ছাড়পত্র গ্রহণ করেন নূরুজ্জামান। এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিনেমাটির প্রেক্ষাপট নিয়ে নূরুজ্জামান বলেন, “আমার বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ছোট থেকেই জাহাজীদের জীবনের নানা কর্মকাণ্ড দেখে আসছি। খুব ইচ্ছে ছিল তাদের জীবনচিত্র ক্যামেরায় ফ্রেমেবন্দি করার। ‘মাস্তুল’ সিনেমার মাধ্যমে সেই সুযোগ পেয়ে তা আর হাতছাড়া করলাম না।”

‘মাস্তুল’ সিনেমার মুক্তি নিয়ে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, “আমরা গেল বছরই ‘মাস্তুল’-এর সব কাজ সম্পন্ন করেছি। দেশের বাইরে হয়েছে এই সিনেমার সাউন্ডের কাজ। এবার যেহেতু মুক্তির আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়া গেল, সামনে সুবিধাজনক একটি সময়ে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”

আরো পড়ুন:

বর্ষার বক্তব্য নিয়ে তারকাদের সমালোচনা

মা হলেন আথিয়া, নানা সুনীল শেঠি

‘মাস্তুল’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দিত অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। তাকে দেখা যাবে জাহাজের বাবুর্চির চরিত্রে। সিনেমাটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন— দীপক সুমন, আমিনুর রহমান মুকুল, শিকদার মুকিত এবং শিশুশিল্পী আরিফ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে আগুন জ্বালালেন রাফিনিয়া

মারাকানায় মারামারির সেই স্মৃতি এখনো দগদগে। আহত হয়েছিলেন অনেকেই। জরিমানাও হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। ব্রাজিলের পুলিশ নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করেছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর। ঝড়েছিল রক্তও।

আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া সেই ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরা গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে মারামারির বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন সমর্থকদের। থামতে থামতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। গ্যালারির রেলিং ধরে নিরীহ সমর্থকদের অনিশ্চিত চাহনির অদৃশ্য কালিতে একটা বিষয় পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল।

ফুটবলের যে লড়াই জিভে জল আনার, যে লড়াইয়ে নাকি শুধু রোমাঞ্চই থাকে, খুব আশা নিয়ে সেটা তাঁরা দেখতে এসে এ কী দেখলেন! লাঠিপেটা, চেয়ার ছুড়ে মারা, চিৎকার ও রক্তপাত!

আরও পড়ুনগোল করে আর্জেন্টিনাকে হারানোর ঘোষণা রাফিনিয়ার১৬ ঘণ্টা আগে

ফিফা সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল। আর যেন এমন কিছু না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

কিন্তু লড়াই যখন ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার এবং তা–ও ফুটবলের ময়দানে, তখন হাজারো শান্তির কথা বলার পরও একটু ঝুঁকি থাকেই। হাজারো ব্যবস্থা নেওয়ার পরও নিরাপত্তা আসলে নিশ্চিত নয়। কারণ, অনুভূতিটাই আগুনে—আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল! যে দলের মাঠে খেলা, সেই দলের সমর্থকেরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য একটু আয়োজন তো রাখবেনই!

বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তালেও আজ নিশ্চয় এমন কিছু এন্তেজাম করা আছে। অন্তত আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সেই প্রস্তুতি অবশ্যই নেওয়া আছেই। কারণ, মারাকানার সর্বশেষ স্মৃতি—ব্রাজিলিয়ান পুলিশের লাঠিপেটা, ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের চেয়ার ছুড়ে মারা। হিসাব–কিতাব তো সমান হয়নি।

আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ম্যাচে ১০০০ পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি ট্রাফিক এজেন্ট, সরকারি এজেন্সির কর্মকর্তা ও ক্যাডেট পুলিশ কর্মকর্তারাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ৮০ হাজার আসনের এ স্টেডিয়ামে সমর্থকেরা তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা পার হয়ে তারপর যেতে পারবেন গ্যালারিতে।

ব্রাজিলের সমর্থকেরা ঢুকবেন আলাদা গেট দিয়ে। অর্থাৎ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের গ্যালারিতে ঢোকার পথেই যেন মারামারি লেগে না যায়, সেই ভাবনা থেকে হয়তো এমন ব্যবস্থা। কিন্তু সমর্থকেরা মনের ভেতর তুষের আগুন নিয়ে ঢুকলে, সেটি ধরা পড়বে কোন তল্লাশিতে?

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ কবে জিতেছিল ব্রাজিল ১৭ ঘণ্টা আগে

মারাকানায় মার খাওয়ার সেই তুষের আগুন তো এখনো ধিকিধিকি জ্বলছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বুকে। প্রয়োজন ছিল একটু উসকে দেওয়ার। রাফিনিয়া ঠিক সেই কাজই করেছেন। রোমারিওর সঙ্গে ‘রোমারিও টিভি’ পডকাস্টে বলেছেন, ‘আমরা ওদের গুঁড়িয়ে দেব। কোনো সন্দেহ নেই। একদম গুঁড়িয়ে দেব মাঠের ভেতরে, দরকার পড়লে মাঠের বাইরেও।’

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন রাফিনিয়া। ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও আছেন—এমন গুঞ্জন–ফিসফাসও আছে। এ মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে গোলও করেছেন। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে বার্সার হয়ে ৪২ ম্যাচে ২৭ গোলের পাশাপাশি ২০ গোল করিয়েছেন। ব্রাজিলের হয়ে ৫ ম্যাচে গোল ৪টি, করিয়েছেন ১টি। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৩১ গোল, বানিয়েছেন ২১টি। অর্থাৎ এ মৌসুমে গোল করা ও গোল করানো মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচে ৫২ গোলে অবদান রাফিনিয়ার।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন রাফিনিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ