অভিষেকে রাতুলের ফাইফার, বিজয়ের সেঞ্চুরিতে লিটনদের হার
Published: 25th, March 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সামিউন বাশির রাতুল। ব্যাট হাতেও রান করেছেন তিনি। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ১৭২ রানের বিশাল জয় পেয়েছে।
ডিপিএলের অন্য ম্যাচে লিটন দাসদের গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ম্যাচে লিটন দাস ভালো একটা ইনিংস খেলেছেন। তবে সেঞ্চুরি করে গাজীকে জিতিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২৯ রানে জিতেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
মিরপুর স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে ২৯৮ রান করে। ওপেনার তানজিদ তামিম ৫৯ বলে ৬১ রান করেন। ১১টি চার মারেন তিনি। জাকের আলী ৮৫ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন। তরুণ রাতুল ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন।
পরে রাতুল ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১২৬ রানে অলআউট করে দেন। দলটির হয়ে আব্দুল মজিদ ৪৩ রান করেন। আরিফুল ২৫ রান যোগ করেন।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে গুলশান প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান করেন। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী ওপেনার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ৭৬ বলে ৫৩ রান করেন। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। তিনে নেমে লিটন দাস ৬২ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি সাতটি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা মারেন। ইফতেখার ইফতি ২১ ও ইলিয়াস সানি ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাবে গাজী গ্রুপ ১৪ বল থাকতে জয় তুলে নেয়। ওপেনার এনামুল বিজয় ১৪২ বলে ১৪৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। অন্য ওপেনার সাদিকুর রহমান ৪৫ রান যোগ করেন। মিডলে দলটির ব্যাটাররা ভালো না করায় চাপে ছিল গাজী গ্রুপ। তবে এনামুল ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৯ উইকেটে ২২৫ রান করে। মিজানুর রহমান ৩৪ ও জাহিদুজ্জামান ৪৭ রান করেন। সোহাগ গাজী ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে পারটেক্স ১৯৬ রানে অলআউট হয়। আলাউদ্দিন বাবু ৪৬ বলে ৬৮ রান করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল র ন কর ন র ন র ইন র পগঞ জ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
তামিমকে মিরাজদের জয় উপহার
তামিমের মোহামেডানের জয়ের নায়ক মিরাজ
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে পেয়েছিলেন তামিম। এরপর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয় মোহামেডান অধিনায়ককে। অধিনায়ক ছাড়াই ফিল্ডিং করে শাইনপুকুরকে ২২৩ রানে অলআউট করে মোহামেডান। ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে রানটা ৪৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় মোহামেডান। অষ্টম ম্যাচে মোহামেডানের এটি ষষ্ঠ জয়। দলটি আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
রনি তালুকদারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৬৪ রান যোগ করেন মিরাজ। এই রানের ১০৩-ই করেছেন মিরাজ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি, ঢাকা লিগে প্রথম। ৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রান করা মিরাজই আউট হয়েছেন সবার আগে। রনি ফেরেন দলকে ১৭৪ রানে রেখে ব্যক্তিগত ৬১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাহিদুল, সাইফউদ্দিন ও নাসুমরা বাকি কাজটা সারেন।
এর আগে ১০৭ রানেই শাইনপুকুরের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল মোহামেডান। এরপর শরীফুল ইসলামকে (৫৭) নিয়ে শাইনপুকুর অধিনায়ক রাইয়ান রাফসান (৭৭) ৭৭ রানের জুটি গড়েন। মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
পারভেজের সেঞ্চুরি, আবাহনীর সপ্তম জয়মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব করে ৯ উইকেটে ২০১ রান। রানটা ১০.৪ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী। দলটির ওপেনার পারভেজ হোসেন ১৩৩ বলে ১২৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৩টি চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। পারভেজ ছাড়া আবাহনীর হয়ে ফিফটি পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন (৫৪)। ধানমন্ডির অফ স্পিনার এনামুল হক ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এর আগে ধানমন্ডির হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন ফজলে রাব্বি। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান ৫৭ রান করেছেন। আবাহনী ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ৪৫ রানে নেন ৪ উইকেট।
সাব্বির-ইরফানের সেঞ্চুরি, প্রাইম ব্যাংকের পঞ্চম জয়ওপেনার সাব্বির হোসেন (১২১ বলে ১০২) ও অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের (৯৪ বলে অপরাজিত ১০৭) সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২১ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন শাহাদাত হোসেন।
রান তাড়ায় অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১১৫ বলে ১১৬) সেঞ্চুরি পেলেও ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে ৩৪ রানে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও আরাফাত সানি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।