এবার ভ্যানে এলাকায় ঘুরলেন সারজিস আলম
Published: 25th, March 2025 GMT
পঞ্চগড় সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি জেলার আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখালদেবী, বামনকুমার, বালিয়া, লক্ষ্মীত্থানসহ বিভিন্ন গ্রামে যান। এ সময় বাড়ি ও খেতখামারে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর প্রথমবারের মতো গতকাল সোমবার নিজ জেলা পঞ্চগড়ে আসেন সারজিস আলম। প্রথমে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ যান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। সারজিস আলমের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায়। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সারজিস আলম গতকাল আটোয়ারী উপজেলার আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সহস্রাধিক মানুষের সঙ্গে ইফতার করেন। অনুষ্ঠানের ব্যানারে উল্লেখ করা হয়, ইফতার মাহফিলটি জাতীয় নাগরিক পার্টির আটোয়ারী উপজেলার আয়োজনে করা হয়েছে। তবে এনসিপির আটোয়ারী উপজেলায় এখনো কোনো কমিটি হয়নি।
আজ সকালে সারজিস আলম ভ্যানে চড়ে নিজ বাড়ির আশপাশের গ্রামে যান। দুপুরে সারজিস আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে গ্রামে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এবং ছবি পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুনউড়োজাহাজ থেকে নেমে শতাধিক গাড়িসহ ‘শোডাউন’ দিয়ে নিজ এলাকায় সারজিস আলম২১ ঘণ্টা আগেফেসবুকে ছবি পোস্ট করে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘জীবনের প্রথম ১৭ বছর এই মাটি ও মানুষের সাথে থেকে বেড়ে উঠেছি। এখানেই যেন চিরপ্রশান্তি। সরু আইল দিয়ে হেঁটে চলা, মাচায় বসে গল্প করা, ভ্যানে করে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়া, এগুলো যেন আমাদের চিরচেনা গল্প। এই গল্পগুলো শুনতে, শোনাতে এবং বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুনহামরা কাজ করিবা পারিলে ভোট দিবেন, নাহিলে দিবেননি : সারজিস আলম২৪ মার্চ ২০২৫ফসলের খেতে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। আজ মঙ্গলবার আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্যালো মেশিনে তৈরি মজাদার ‘ঝুড়ি’
২ / ৯ঝুড়ির জন্য চাল নিয়ে অপেক্ষায় এক শিশু