জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত ছাত্রদের গঠিত প্রথম ছাত্র সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কার্যক্রম এবার বিশ্বের প্রাচীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল আজহারেও শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানী কায়রোর দাররাসার জামালিয়া মাঠে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান।

এ সময় খোমেনী ইহসান আল আজহারের বাংলাদেশী ছাত্রদের নিষ্ঠার সঙ্গে এলেম অর্জন করে দেশে ফিরে জনগণের মধ্যে ইসলামের আলো ছড়ানোর কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কর্তব্য হিসেবে দেশে ইসলাম প্রচারে আল আজহারের গ্রাজুয়েটদের নিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”

অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন রেজাউল কবির, যোবায়ের আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাঈম, আনাস হুসাইন, নিয়াজ মাখদুম, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, সালেহ আহমেদ, নাজমুল হাসান, ইউনুস আহমেদ, নাছির উদ্দীন, মেজবাহ উদ্দীন, জাহিদ হাসান, কাওছার আহমেদ, নাজিমউদ্দীন, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ তানভীর, মোহাম্মদ আব্বাস, সাইফুল ইসলাম, ইব্রাহিম শোহান, রাকিবুল ইসলাম, আব্দুল আল মাহি, নূর আহমেদ, আসাদুজ্জামান, আবদুল কাদের, আক্তার মোক্তাদির, আরমান আহমেদ ও মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে আগুন জ্বালালেন রাফিনিয়া

মারাকানায় মারামারির সেই স্মৃতি এখনো দগদগে। আহত হয়েছিলেন অনেকেই। জরিমানাও হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। ব্রাজিলের পুলিশ নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করেছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর। ঝড়েছিল রক্তও।

আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া সেই ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরা গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে মারামারির বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন সমর্থকদের। থামতে থামতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। গ্যালারির রেলিং ধরে নিরীহ সমর্থকদের অনিশ্চিত চাহনির অদৃশ্য কালিতে একটা বিষয় পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল।

ফুটবলের যে লড়াই জিভে জল আনার, যে লড়াইয়ে নাকি শুধু রোমাঞ্চই থাকে, খুব আশা নিয়ে সেটা তাঁরা দেখতে এসে এ কী দেখলেন! লাঠিপেটা, চেয়ার ছুড়ে মারা, চিৎকার ও রক্তপাত!

আরও পড়ুনগোল করে আর্জেন্টিনাকে হারানোর ঘোষণা রাফিনিয়ার১৬ ঘণ্টা আগে

ফিফা সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল। আর যেন এমন কিছু না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

কিন্তু লড়াই যখন ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার এবং তা–ও ফুটবলের ময়দানে, তখন হাজারো শান্তির কথা বলার পরও একটু ঝুঁকি থাকেই। হাজারো ব্যবস্থা নেওয়ার পরও নিরাপত্তা আসলে নিশ্চিত নয়। কারণ, অনুভূতিটাই আগুনে—আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল! যে দলের মাঠে খেলা, সেই দলের সমর্থকেরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য একটু আয়োজন তো রাখবেনই!

বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তালেও আজ নিশ্চয় এমন কিছু এন্তেজাম করা আছে। অন্তত আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সেই প্রস্তুতি অবশ্যই নেওয়া আছেই। কারণ, মারাকানার সর্বশেষ স্মৃতি—ব্রাজিলিয়ান পুলিশের লাঠিপেটা, ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের চেয়ার ছুড়ে মারা। হিসাব–কিতাব তো সমান হয়নি।

আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ম্যাচে ১০০০ পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি ট্রাফিক এজেন্ট, সরকারি এজেন্সির কর্মকর্তা ও ক্যাডেট পুলিশ কর্মকর্তারাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ৮০ হাজার আসনের এ স্টেডিয়ামে সমর্থকেরা তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা পার হয়ে তারপর যেতে পারবেন গ্যালারিতে।

ব্রাজিলের সমর্থকেরা ঢুকবেন আলাদা গেট দিয়ে। অর্থাৎ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের গ্যালারিতে ঢোকার পথেই যেন মারামারি লেগে না যায়, সেই ভাবনা থেকে হয়তো এমন ব্যবস্থা। কিন্তু সমর্থকেরা মনের ভেতর তুষের আগুন নিয়ে ঢুকলে, সেটি ধরা পড়বে কোন তল্লাশিতে?

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ কবে জিতেছিল ব্রাজিল ১৭ ঘণ্টা আগে

মারাকানায় মার খাওয়ার সেই তুষের আগুন তো এখনো ধিকিধিকি জ্বলছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বুকে। প্রয়োজন ছিল একটু উসকে দেওয়ার। রাফিনিয়া ঠিক সেই কাজই করেছেন। রোমারিওর সঙ্গে ‘রোমারিও টিভি’ পডকাস্টে বলেছেন, ‘আমরা ওদের গুঁড়িয়ে দেব। কোনো সন্দেহ নেই। একদম গুঁড়িয়ে দেব মাঠের ভেতরে, দরকার পড়লে মাঠের বাইরেও।’

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন রাফিনিয়া। ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও আছেন—এমন গুঞ্জন–ফিসফাসও আছে। এ মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে গোলও করেছেন। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে বার্সার হয়ে ৪২ ম্যাচে ২৭ গোলের পাশাপাশি ২০ গোল করিয়েছেন। ব্রাজিলের হয়ে ৫ ম্যাচে গোল ৪টি, করিয়েছেন ১টি। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৩১ গোল, বানিয়েছেন ২১টি। অর্থাৎ এ মৌসুমে গোল করা ও গোল করানো মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচে ৫২ গোলে অবদান রাফিনিয়ার।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন রাফিনিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ