নিউজিল্যান্ড দলে কে এই মুহাম্মদ আব্বাস
Published: 25th, March 2025 GMT
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। যে দলে একটি নাম ভক্তদের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার নিউজিল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার মুহাম্মদ আব্বাস। কে এই মুহাম্মদ আব্বাস?
২১ বছর বয়সী আব্বাসের জন্ম লাহোরে। তাঁর বাবা আজহার আব্বাস পাকিস্তানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। এরপর নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমানোর পর খেলেছেন ওয়েলিংটন ও অকল্যান্ডের হয়েও। বর্তমানে ওয়েলিংটনে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন এই পেসার।
আব্বাসের বেড়ে ওঠা অকল্যান্ডে। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল আব্বাসের। তবে কোয়ারেন্টিন বাধ্যবাধকতায় শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় নিউজিল্যান্ড। গত ফেব্রুয়ারিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেন আব্বাস।
১৫লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আব্বাসের ম্যাচসংখ্যাসব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ১৫টি। প্রায় ৩৫ গড়ে আব্বাস রান করেছেন ৪৫৪, উইকেট পেয়েছেন ৫টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ২১টি। ৬টি ফিফটির সঙ্গে সেঞ্চুরি আছে ২টি। গড় ৩৬.
পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মূল দলের অনেক ক্রিকেটারই নেই। মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্ররা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। কেইন উইলিয়ামসন আইপিএলে সুযোগ না পেলেও এই সিরিজে খেলবেন না। আইপিএলে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন এই ক্রিকেটার।
অধিনায়ক স্যান্টনারের জায়গায় এই সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম। দলে ফিরেছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা আদিত্য অশোক।
নিউজিল্যান্ড দল: টম ল্যাথাম, মুহাম্মদ আব্বাস, আদিত্য অশোক, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, জ্যাকব ডাফি, মিচ হে, নিক কেলি, ড্যারিল মিচেল, উইল ও রুর্ক, বেন সিয়ার্স, নাথান স্মিথ, উইল ইয়াং।আরও পড়ুনতামিম এখন কেমন আছেন৬ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী ঐতিহ্যে চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলা, কৃষিপণ্যের বাহারে মুখর পীরের বাজার
শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার পীরের বাজারে শুরু হয়েছে বৃহৎ বৈশাখী মেলা, স্থানীয়ভাবে যা 'বান্নি' নামে পরিচিত। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলাটি চুনারুঘাটসহ সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মেলা শুরু হয় এবং মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কৃষিপণ্যের বিশাল সমাহার। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে লাঙল, জোয়াল, দা, কাঁচি, মই, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ অসংখ্য কৃষি উপকরণ। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, হস্তশিল্প ও মনিহারি পণ্যেরও ছিলো চোখধাঁধানো উপস্থিতি।
স্থানীয় দোকানিরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। শুধু হবিগঞ্জ নয়, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী এমনকি উত্তরবঙ্গ থেকেও বিক্রেতারা অংশ নিয়েছেন এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে।
চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু বলেন, এই মেলা মূলত কৃষকদের জন্য। এখান থেকে প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতেন তারা।
তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় মেলার জৌলুস কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। সেইসঙ্গে আশপাশে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠায় মেলার পরিসরও সীমিত হয়েছে।
স্থানীয় ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, মেলায় অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। মেলা চলাকালীন নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ বাহিনী, নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শত বছর আগে এই মেলা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে পূজা আয়োজনের মাধ্যমে। পরে তা বৃহৎ মেলায় রূপ নেয়।
এখনও অনেকেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করতে এই মেলায় আসেন, স্মৃতিচারণ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেলায় পরিবেশিত হচ্ছে গ্রামবাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
চুনারুঘাটের এই বৈশাখী মেলা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি এ অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক জীবনের প্রতিচ্ছবি।